নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল: কী আছে ১৪ নম্বর ধারায়?

নয়াদিল্লি: লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল৷ রাজ্যসভায় পেশ হয়েছে এই বিল৷ চলছে আলোচনা৷ বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিলে দেশের সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘণ করা হয়েছে৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কী বলা আছে সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায়? এই ধারায় সাম্যের অধিকার কথা বলা হয়েছে৷ অনুচ্ছেদ ১৪ নম্বর ধারায় সাফ জানিয়ে দেওয়া আছে, ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল: কী আছে ১৪ নম্বর ধারায়?

নয়াদিল্লি: লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল৷ রাজ্যসভায় পেশ হয়েছে এই বিল৷ চলছে আলোচনা৷ বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিলে দেশের সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘণ করা হয়েছে৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কী বলা আছে সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায়?

এই ধারায় সাম্যের অধিকার কথা বলা হয়েছে৷ অনুচ্ছেদ ১৪ নম্বর ধারায় সাফ জানিয়ে দেওয়া আছে, ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ সাম্যের অধিকার রয়েছে৷ এটি ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার৷ রাষ্ট্র কখনও সমতার অধিকার হরণ করতে পারবে না৷

দেশের সংবিধানে ১৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, রাজ্যে রাজ্য আইনত কোনও ব্যক্তির সমতার অধিকারকে অথবা ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে আইনগুলির সমান সুরক্ষা অস্বীকার করবে না৷ অর্থাৎ ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত কোন ব্যক্তি ভারতের রাষ্ট্রীয় আইনের দৃষ্টিতে ও সকল আইন দ্বারা সমান ভাবে সংরক্ষিত থাকবে৷ কোন ভাবেই বঞ্চিত করা হবে না৷

তিনটি ধারা ১৪,১৫,১৬কে নিয়ে তৈরি ১৪ নম্বর ধারা৷ ১৪ নম্বরে, সমতার সাংবিধানিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে৷ ১৫ নম্বর ধারায় জাতি ধর্ম বর্ণ লিঙ্গ জন্মস্থানের ভিত্তিতে রাজ্যে কোন ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে৷ ১৬ নম্বর ধারায় সরকারি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে৷ অর্থাৎ জাতি ধর্ম বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলকেই চাকরিতে সমান সুযোগ দিতে হবে৷ কেউ বঞ্চিত হবেন না৷

১৪ নম্বর ধারার প্রথম দুটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ হচ্ছে, আইনের চোখে সবাই সমান৷ যার অর্থ সকলের জন্য আইন সমান হবে৷ তা সমান ভাবে পরিচালিত হবে৷ যদিও এই অনুচ্ছেদের পর কিছুটা রূপান্তরিত হয়৷ কারণ মনে করা হচ্ছিল, পুরোনো নিয়মে সমাজে পিছিয়ে থাকা গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার অনুমোদন নেই৷ সেই কারণে অনুচ্ছেদের রূপান্তর ঘটে৷ ১৪ নম্বর ধারার প্রকৃতি মোটেই নিরঙ্কুশ নয়৷ যুক্তিসংগত শ্রেণীবিন্যাসের কথা বলা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − 4 =