নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছে৷ এখন রাজ্যসভায় এটি পাশ করতে হবে বিজেপি সরকারকে৷ এই বিলটি আইন হিসাবে আসার আগেই মোদী সরকার দুটি কাজ করেই রেখেছে৷
১. Foreigners Act 1946 বা বিদেশি আইন’কে সংশোধন করা হয়েছে ২০১৬ সালে৷ ২. Passport ( Entry into India) Act বা পাসপোর্ট আইন ২০১৫ সালে সংশোধন করা হয়েছে৷
এখানে ব্যাখ্যার প্রয়োজন কেন মোদী সরকার এই দুটি আইন সংশোধন করে রেখেছে৷ নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিদেশি অবৈধভাবে ভারতে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷ আদালতের মাধ্যমে তার পুলিশ বা জেল হেফাজত হতে পারে৷ নয়তো, তাকে আটক করে তার দেশে ফেরত পাঠানো যেতে পারে৷ যে আইনের বলে সরকার এই কাজ করতে পারে তা হল বিদেশি আইন এবং পাসপোর্ট আইন৷
কী সেই সংশোধন? উত্তর, ভারতে আসা বিদেশিদের মধ্যে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের আলাদা করা হয়৷ ওই দেশগুলির ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হলো – হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ এবং পার্সি৷ তাঁরা ভারতে এলে তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না৷ তাঁদের নিজের দেশে ফিরতে চাপ দেওয়া যাবে না৷ কারণ তাঁদের রক্ষা করার জন্য মোদী সরকার বিদেশি এবং পাসপোর্ট আইন সংশোধন করে রেখেছে আগে থেকেই৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইন হিসাবে এলে, ওই তিন দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু জনতা ভারতের নাগরিক হতে পারবেন৷
সেদিক থেকে যদি বিচার করেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের অনেক আগেই বিদেশি আইন এবং পাসপোর্ট আইন সংশোধন করে প্রতিবেশি দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিয়েই রেখেছেন অমিত শাহ এবং মোদী৷ নতুন আইন শুধু তাদের পাকাপাকি নাগরিকত্ব দেবে৷