করোনা আতঙ্কে বাতিল চিনা বধূর বৌভাত, নম নম করে সাঙ্গ ফুলশয্যা

করোনা আতঙ্কে বাতিল চিনা বধূর বৌভাত, নম নম করে সাঙ্গ ফুলশয্যা

ভোপাল: প্রেমের ভাষায় ভৌগলিক দুরত্ব কোনও বাধাই মানে না। প্রেমের ভাষা দেশ কালের দুরত্ব কমে যেতে থাকে। সেই প্রেমের জোরারেয়ই মধ্যপ্রদেশের ছেলে সত্যর্থ মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল চিনের মেয়ে জি হাওয়ের। কথা ছিল ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করা হবে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে বাধ সাধল করোনাভাইরাস। শুধু চিন নয়, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতের করেলেও করনোভাইরাসের সন্ধান মিলিছে তিন জনের শরীরে। এই পরিস্থিতি আতঙ্কিত বর পক্ষ। আবার যেখানে কনে পক্ষ চিন থেকে আসবে, তখন অতিরিক্ত সাবধানতা নিতেই হয়ে। এই করনোভাইরাসের জেরে ভেস্তে গেল বিয়ের প্রীতিভোজ।

জানা যায়, পাঁচ বছর আগে কানাডায় পড়তে গিয়েছিলেন সত্যর্থ। সেখানেই জিয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেম আর তার থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত। যদিও এই বিয়েতে বেশ কিছু সমস্যা হয়েছিল। সত্যর্থের পরিবার প্রথম দিকে বেঁকে বসেছিল। কানাডায় ছেলে গেল পড়তে। ফেরার সময় নিয়ে আসল চিনা বউ। পাড়া প্রতিবেশী কি বলবে। তবে, ছেলের জেদের কাছে নত হয়ে সত্যর্থের পরিবার মেনে নেয় জিকে। এরপরেই শুরু হয়ে যায় বিয়ের প্রস্তুতি। 

বিয়ে উপলক্ষে আগেই জিয়ের পরিবার হাজির হয়েছিল। গত ২৯ জানুয়ারি তাঁরা ভারতে আসেন। মন্দসৌরে ভারতীয় আচার মেনে হয়ে যায় জি সত্যর্থের বিয়ে। অন্য ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখে যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন জি। বিয়ের প্রতিটি অনুষ্ঠান তিনি নিষ্ঠাভরে উপভোগ করেন। একসময় নব দম্পতিকে বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতেও দেখা যায়। তবে বিয়েতে আমন্ত্রিত বেশিরভাগ ছিলেন সত্যর্থের বন্ধুবান্ধব। কথা ছিল, চিনে গিয়ে ওখানকার রীতি অনুযায়ী বিয়ে হবে। কিন্তু তাল কাটলো করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসে অতঙ্কিত বিশ্ববাসী। তাই সেখানে গিয়ে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান করতে চাইছেন না জি বা সত্যর্থের পরিবার। অগত্যা স্থগিত রাখতে হল সেই পরিকল্পনা।

অন্যদিকে জি হাও জানান, ভারত সুন্দর দেশ, এখানকার মানুষ সুন্দর, এখানকার খাবারও দারুন। ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে নববধূ বলেন, দুদেশের সংস্কৃতির মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকলেও, কোথাও যেন একটা মিলও রয়েছে। শীঘ্রই কানাডায় ফিরবে এই নব দম্পতি। তারপর করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক সম্পূর্ণ শেষ হলে চিনে ফিরবে জি হাওয়ের পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *