নয়াদিল্লি: ভারতের উত্তর পূর্ব সীমান্তে সম্প্রতি চীনা আগ্রাসন যেভাবে মাথা চারা দিয়ে উঠেছে তাতে নিঃসন্দেহে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নয়া দিল্লির কপালে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও লাদাখে রীতিমতো শক্তি বাড়িয়েছে চীন। আর তার জেরে যথারীতি অবনতি ঘটেছে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে। তবে, শুধু উত্তর পূর্ব ভারতের সীমান্তেই নয়, এবার চীনা ফৌজের নজর পড়েছে অরুণাচল প্রদেশে।
উত্তর পূর্ব ভারতে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের ভিতরেই একাধিক গ্রাম তৈরি করেছে চীন, হঠাৎই সামনে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। কিছুদিন আগে ভূটানের সীমান্তের ভিতরেও চীনা গ্রাম তৈরির খবর ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। তার জেরে হয়েছিল দীর্ঘ চর্চাও। তবে এবার অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু এলাকাতেও দেখা গেল একই ধরনের চীনা কৌশল। বস্তুত, বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বেশ কিছুদিন ধরেই ভারত সরকারকে উত্তর পূর্বে চীনা আগ্রাসনের বিষয়ে সতর্ক করছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া বেশ কিছু এলাকায় চীন গ্রাম তৈরি করছে। শুধু তাই নয়, এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চীনের ভারত আক্রমণের সম্ভাবনাটিও উড়িয়ে দেন নি তিনি। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ নারাভানেকেও অনুরূপ আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের আশঙ্কা সত্যি করেই এবার উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবরে জানা গেছে, অরুণাচল প্রদেশের কিছু এলাকায় শুধুমাত্র গ্রামই তৈরি করে নি চীন, এমনকি সেখানে শতাধিক মানুষের বসতিও গড়ে উঠেছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় দেখা গেছে সারিবদ্ধ তাঁবুও।
বস্তুত, আপার সুবানসিরি জেলায় সারি চু নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ কিছু এলাকাকে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে এসেছে চীন। কিন্তু ওই অংশগুলি যে ভারতেরই, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। এই এলাকাগুলিতে নিজেদের আধিপত্য সুনিশ্চিত করতে নিয়ম করে প্রতি বছর আকাশপথে চকোলেট, বিস্কুট প্রভৃতি ঝরানোর কর্মসূচীও নিয়ে থাকে জি জিনপিংয়ের দেশ। অরুণাচল প্রদেশে এই চীনা অনুপ্রবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রকে সতর্ক করে আসছেন বিজেপি নেতা তাপির গাও। উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখে চীনা অনুপ্রবেশের পর গত বছরের শেষ দিকেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধেছিল লাল ফৌজের। এমত পরিস্থিতিতে অরুণাচল প্রদেশের ঘটনা ফের টনক নড়িয়েছে কেন্দ্রের।