লে: গত এক মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমতে চলেছে। এক রিপোর্টে জান গিয়েছে, লাদাখ সীমান্ত থেকে চিনা সেনা ধীরে ধীরে সরতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ভারতীয় সেনারাও কিছুটা পিছু হটছে বলে জানা গিয়েছে।
সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন লাদাখের সাংসদ শেরিং নামগিয়াল। তিনি লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে পাংগং লেক, থাকুং, চারটসে ফাঁড়ি এলাকা ঘুরেছেন। তাঁর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিঙ্গার ৪ ও অন্য ফাঁড়িগুলির প্রকৃত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তিনি। এরপরেই শেরিং হুমকি দিয়ে বলেন, দেশের এক চুল জমিও চিনা সেনাবাহিনীকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
এরপরেই চাপ বাড়িয়ে একের পর এক রিপোর্ট আসতে শুরু করে। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনাদের আনাগোন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়ে গিয়েছে চিনের হেলিকপ্টার। সেনা সূত্রে খবর, গত সাত-আট দিন ধরে একাধিক চিনা হেলিকপ্টার আসতে দেখা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, চিনের সেনাবাহিনী যে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে, তাদের সাহায্য করতেই এইসব হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে।
তবে চিনা সরকারের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারা ভারতের সঙ্গে কোনও সংঘাত চায় না। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সোমবার জানিয়েছেন, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। চিন ভারতের সঙ্গে কোনোরকম বৈষম্য চায় না। বিদেশ মন্ত্রকের সেই বার্তা ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ভারতে চিনের রাষ্ট্রদূত সান উইডং। সোমবার এই বিবৃতি দেওয়ার পরেই মঙ্গলবার চিনা সেনা পিছু হটতে শুরু করেছে। যা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।