নয়াদিল্লি: গতবছর লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের সেনা বাহিনীর যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল তার উত্তাপ এখনও রয়ে গিয়েছে দুই দেশের অন্দরে। একাধিকবার বৈঠক করার পরেও ইতিবাচক ফল মেলেনি এখনো পর্যন্ত। বেজিং সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সংঘাতের আবহ রয়েই গিয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়। এবার ফের চিন-ভারত সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের ক্যাম্প দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে।
জানা গিয়েছে, প্যাংগং লেকের দক্ষিণ কৈলাস রেঞ্জের নিচে নতুন বেস ক্যাম্প তৈরি করেছে চিনের সেনা বাহিনী। এতদিন উপগ্রহ চিত্র দেখা গেলেও এবার সেখানে চিনের সেনা ক্যাম্পের নতুন ছবি দেখা যাওয়াতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আরো বেশি করে। সবচেয়ে আশঙ্কার ব্যাপার, গতবছর অগাস্ট মাসে এই এলাকা দখল এখানে ভারত। আপাতত তিব্বত লাগোয়া মলডো গ্যাসরিন এবং স্প্যাঙ্গুর গ্যাপ এলাকা ভারতের দখলে রয়েছে। তবে এখন চিন সেনাবাহিনীর বেস ক্যাম্পের ছবি ধরা পড়ায় ওই এলাকায় যে চিনের সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই, ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদুরিয়া জানিয়েছিলেন, লাদাখ সীমান্তে চিনের বায়ুসেনা পাহারা দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে রয়েছে রিডার এবং মিসাইল। ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান মনে করছেন, এইভাবে সীমান্তের উত্তেজনা জিইয়ে রেখে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করতে উদ্যোগী হচ্ছে চিন। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বায়ুসেনা যে পুরোপুরি প্রস্তুত তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ভাদুরিয়া। তাঁর কথায়, চিন যা যা পদক্ষেপ নিচ্ছে তার ওপর পুরোপুরি নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এদিকে বিগত কিছুদিন ধরেই ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা জিইয়ে রাখতে চাইছে চিন। তবে ভারত যেসব পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি তা একদিকে যেমন স্পষ্ট করে দিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান, একইরকম ভাবে এই কথা আগেই জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিডিএস বিপিন রাওয়াত। তিনি এমনকি এও বলেছিলেন, ভারত এবং চিনের সমস্যা সমাধান করতে পারে একমাত্র সেনাবাহিনী।