ভারতে হামলা চালাতে মায়ানমারের জঙ্গি গোষ্ঠীকে অস্ত্র যোগাচ্ছে চিন! সতর্ক করল সেনা

ভারতে হামলা চালাতে মায়ানমারের জঙ্গি গোষ্ঠীকে অস্ত্র যোগাচ্ছে চিন! সতর্ক করল সেনা

নয়াদিল্লি: ভারতকে নিশানা করতে মায়ানমারের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে চিন৷ সম্প্রতি মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ চিনা অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পরই এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি৷ ভারতীয় সম্পদ লুট করা এবং কালাদান মাল্টিমডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প বানচাল করতেই আরাকান আর্মি (এএ)-র মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে এই অস্ত্র তুলে দিচ্ছে চিন৷  

গত মাসে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ড পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পাচার হওয়া বিপুল চিনা অস্ত্র উদ্ধার করেছিল৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ জেরার মুখে তারা জানিয়েছে, এই চিনা অস্ত্রগুলি বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কাছে পাচার করা হচ্ছিল৷ থাই সীমান্তের মেয় সট জেলার একটি বাড়ি থেকে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মাইন, গ্রেনেড এবং মেশিনগান বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, এই অস্ত্রগুলি সাম্প্রতিক কালে আরাকান আর্মি ব্যবহার করেনি৷ এই অস্ত্রগুলি চিনের তৈরি৷ তবে এগুলি স্বয়ংক্রিয় নয়৷   

কালান্দা প্রকল্পকে সুরক্ষিত রাখতে গত বছর সীমান্তে নিজ নিজ এলাকায় আরাকান আর্মি এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়েছিল ভারত এবং মায়ানমার সেনা৷ এই অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন সানরাইজ’৷ কালদান প্রকল্পকে নষ্ট করতে মায়ানমারের ল্যাংটলাই জেলা জুড়ে একাধিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে আরাকান আর্মি৷ এই প্রকল্পটিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারতের প্রবেশ দ্বার হিসাবে দেখা হচ্ছে৷  

ব্যাংকক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ড পুলিশের মুখপাত্র কর্নেল ফাট্টানাচরোয়েন বলেন, গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলি ধ্বংসাত্বক কাজের জন্যই ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের৷ অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলে নাশকতা চালাতে রোহিঙ্গা জিহাদিদের নিযুক্ত করতে চাইছে পাকিস্তানের আইএসআই৷ লস্কর-ই-তৈবা এবং আকমল মুজাহিদিনের মধ্যে নিবির যোগসূত্র রয়েছে৷ যা রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত পাক নাগরিক আবদুস কাদুস বার্মির হারকত-উল-জিহাদ ইসলামিয়া আরাকান (হুজি-এ) থেকে বেরিয়ে আসা একটি দল৷ যারা মায়ানমারে জিহাদ ঘোষণা করেছে৷ লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের সঙ্গে মঞ্চও ভাগ করেছে আবদুস কাদুল বার্মি৷  

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ৩৯টি এম ২২ অ্যাসল্ট রাইফেল, ২৯টি মিডিয়াম মেশিনগান, ৬৯টি  এম-২১ অ্যাসল্ট রাইফেল, ৯টি এম-১৬ অ্যাসল্ট রাইফেল, ২১টি আরপিজি এবং একটি এফএন-৬ ম্যান পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 10 =