অরুণাচল সীমান্তে ড্রাগনের নিঃশ্বাস, ৯ মাসে ৩টি গ্রাম গড়ল চিন

অরুণাচল সীমান্তে ড্রাগনের নিঃশ্বাস, ৯ মাসে ৩টি গ্রাম গড়ল চিন

নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন দ্বৈরথের মধ্যেই অরুণাচল প্রদেশে ড্রাগনের নিঃশ্বাস৷ উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল এক চাঞ্চল্যকর চিত্র৷ উত্তরপূর্বের এই রাজ্য সংলগ্ন বুম লা পাস থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে তিনটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে চিন৷ ভারত, চিন এবং ভুটান- এই তিন দেশের সংযোগস্থলে অবস্থিত অত্যন্ত সংবেদনশীল অঞ্চল বুম লা পাস৷ ভারতের উপর চাপ বাড়াতেই লাদাখের  উত্তেজনা জিইয়ে রেখে অরুণচলকে লক্ষ্য করতে চাইছে চিন৷  

আরও পড়ুন- জানুয়ারির মধ্যেই ভারতে আসছে ২টি করোনা ভ্যাকসিন, জানাল এইমস

গত মে মাস থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে৷ একাধিকবার সীমান্তে আগ্রাসী পদক্ষেপ করে লাল ফৌজ৷ রক্ত ঝরেছে গালওয়ান উপত্যকায়৷ এর পর অরুণচল সীমান্তে চিনের গতিবিধিতে নতুন করে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে৷ অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে৷ ভারতের বেশ কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি জানিয়ে এসেছে বেজিং৷ জানা গিয়েছে দুর্গম গিরিখাত এলাকায় এই গ্রামগুলি গড়ে তোলা হয়েছে৷ চায়না ওয়াচার ড. ব্রহ্ম চেলানি বলেন, ‘‘হ্যান চাইনিজ গোষ্ঠীর মানুষ এবং তিব্বতিদের নিয়ে ভারত সীমান্তে এই গ্রাম তৈরি করার কৌশল নিয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি৷ এই কৌশলে সীমান্তে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে তুলতে চাইছে বেজিং৷’’ সীমান্ত শক্তি বাড়াতে জনশক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে চিন৷ একইভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে মৎস্যজীবীদের এনে ভিড় বাড়িয়েছে শি জিনপিং-এর দেশ৷ 

উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অরুণাচল সীমান্তে বুম লা পাস সংলগ্ন এলাকায় মাত্র একটি গ্রাম তৈরি করা হয়েছিল৷ সেখানে ২০টিরও বেশি বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল৷ বাড়িগুলির লাল রংয়ের ছাদ দেখে সহজেই সেগুলিকে চিহ্নিত করা যায়৷ কিন্তু এই নয় মাসের মধ্যে সেখানে আরও দুটি গ্রাম গড়ে তোলা হয়েছে৷ ২৮ নভেম্বর উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে এই অঞ্চলে তিনটি গ্রাম রয়েছে৷ যেখানে রয়েছে প্রায় ৫০টি নির্মাণ৷  

আরও পড়ুন- ‘ভারতের কৃষকদের পাশে আছি’, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ছে দূরত্ব?

২০১৭ সালে ভারত-চিনের সংঘাত ভূমি হয়ে উঠেছিল ডোকলাম৷ কিছু দিন আগে সেই ডোকলাম থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে ভূটানের ভূখণ্ডে চিনা গ্রামের ছবি ধরা পড়ে উপগ্রহ চিত্রে৷ ওই গ্রামে জনবসতি গড়ে তোলা হয়েছে বলেও জানা যায়৷ গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আগে ডোকলাম চিনের নজরে ছিল বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এছাড়াও ডোকলামের কাছে চিন একটি টানেল তৈরি করেছে বলেও উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − one =