নয়াদিল্লি অগ্নি-পরীক্ষার চিন্তা ভাবনা শুরু করতেই ভারত মহাসাগরে শুরু চিনা গুপ্তচর জাহাজ!

নয়াদিল্লি অগ্নি-পরীক্ষার চিন্তা ভাবনা শুরু করতেই ভারত মহাসাগরে শুরু চিনা গুপ্তচর জাহাজ!

নয়াদিল্লি: ভারত মহাসাগরে ফের চিনা গুপ্তচর জাহাজের আনাগোনা৷ চার মাসের ব্যবধানে আবারও ভারত মহাসাগরে ভাসল ‘উয়ান ওয়াং-৫’। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর পৌঁছতেই গুপ্তচর জাহাজ ভাসাল চিন৷ 

আরও পড়ুন- ‘CBI যদি এত স্মার্ট হয় তাহলে…’ লালনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা

মাস তিনেক আগে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করেছিল এই চিনা গুপ্তচর জাহাজ৷ সেই সময় কলম্বোকে হুঁশিয়ার করেছিল নয়াদিল্লি৷ যদিও সেই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়েছিল ‘উয়ান ওয়াং-৫’৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, নরওয়ের সংস্থা মেরিটাইম অপটিমা থেকে যে তথ্য মিলেছে, তাতে  গত ৫ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঢুকেছে চিনের ওই গুপ্তচর জাহাজ।

গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের সাহুল ব্যাঙ্ক এলাকায় ‘উয়ান ওয়াং-৫’-এর গতিবিধি নজরে আসে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মনে করা হচ্ছে, দক্ষিণ চিন সাগরের হেনান দ্বীপপুঞ্জের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এই চিনা গুপ্তচর জাহাজ। সেখানকার চিনা নৌঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে সেদেশের ডুবোজাহাজ বহর এবং পরমাণু অস্ত্র।

এদিকে, চলতি মাসেই ওড়িশার উপকূলে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ পরীক্ষা করতে চলেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও)। তার ঠিক আগে নজরদারি শুরু করেছে বেজিং৷ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা গুপ্তচর জাহাজের এই গতিবিধি ‘সন্দেহজনক’ বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ‘উয়ান ওয়াং-৫’-এর ওজন প্রায় ২৩ হাজার টনে৷ এই গুপ্তচর জাহাজে রয়েছে উপগ্রহ এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে নজরদারি চালানোর আধুনিক সেন্সর৷ উন্নতমানের প্রযুক্তিযুক্ত চিনের এই নজরদারি জাহাজ ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ 

চিনের এই গুপ্তচর জাহাজ ৭৫০ কিলোমিটারের মধ্যে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। গত অগাস্ট মাসে যখন শ্রীলঙ্কার বন্দরে ‘উয়ান ওয়াং-৫’ নোঙর করেছিল তখন তামিলনাডুর কালপক্কম, কুডানকুলাম-সহ বিভিন্ন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পাশাপাশি  ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খুঁটিনাটি জানাটাও ওই চিনা জাহাজের লক্ষ্য। ভারত আগেই বলেছিল, ক্রমেই ভারত মহাসাগর রণকৌশলের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আগামী দিনে সেখানে সামরিক ঘাঁটি বানানোর জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে জোর প্রতিযোগিতা শুরু হবে।