নয়াদিল্লি: ভারতের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) নীতি বদলের তীব্র বিরোধিতা করল চিন৷ এই নীতিকে ‘বিভেদমূলক’ মন্তব্য করে তা পুর্বিবেচনার দাবি জানাল বেজিং৷
করোনা পরিস্থিতিতে টানা লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত ভারতের অর্থনীতি৷ ধুঁকতে থাকা সংস্থাগুলিকে সুযোগসন্ধানী বিদেশি কোম্পানিগুলির অধিগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই এফডিআই-নীতিতে বদল আনে ভারত৷ এই সিদ্ধান্ত বেজায় ক্ষিপ্ত চিন৷ সোমবার চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ভারত সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তা ওয়াল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও)-এর বিভেদহীন নীতির পরিপন্থী। কোনও একটি নির্দিষ্ট দেশের উপর এ ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় না। ভারত সরকারের এই নীতি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের স্বাধীনতার উপরে হস্তক্ষেপ করছে। আমরা আশা করব ভারত এই বৈষম্যমূলক নীতি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে এবং উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত বিনিয়োগের পরিবেশ গড়ে তুলবে৷’’
দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ব্যবসা বাণিজ্য কার্যত স্তব্ধ। একাধিক সংস্থা দেউলিয়া হতে পারে বলেও বিভিন্ন সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে৷ এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে অধিগ্রহণ করে নিতে পারে চিন। বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার মধ্যেই সম্প্রতি এইচডিএফসি ব্যাংকের অংশীদারিত্ব বেশ খানিকটা বাড়িয়ে নিয়েছে চিনের শীর্ষ ব্যাঙ্ক 'পিপল্স ব্যাঙ্ক অব চায়না'৷ এর পরই আশঙ্কা আরও বাড়তে থাকে৷
শনিবার ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একটি প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারতের স্থলসীমান্তে থাকা দেশগুলির কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা ভারতীয় কোনও সংস্থায় সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবে না৷ বিনিয়োগ করতে চাইলে সরকারের মাধ্যমেই তা করতে হবে।’’ এতদিন এই নিয়ম শুধুমাত্র বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ক্ষেত্রে কার্যকর ছিল। কিন্তু ভারতের নয়া এফডিআই নীতির ফলে এবার থেকে এই আওতায় পড়ল চিন, নেপাল, ভুটান এবং মায়ানমারও।