মুষলধারে বৃষ্টিতে জঙ্গলের মধ্যে সন্তান প্রসব!

মুষলধারে বৃষ্টিতে জঙ্গলের মধ্যে সন্তান প্রসব!

কোলাপুর: আজও এদেশে এক মহিলাকে জঙ্গলে সন্তান প্রসব করতে হয়! মহারাষ্ট্রের কোলাপুর জেলার বাসনোলি ধনগরবাডা এলাকার এই ঘটনা ফের একবার দেশের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। আঙুল তুলল ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার লক্ষ্যে এগোন ভারতের দিকে। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ২৩ বছরের সঙ্গীতা ফাটকরের প্রসব যন্ত্রণা হলে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই মহিলার ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল জুলাইয়ের ২ তারিখ৷ কিন্তু তার আগেই মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় মুষলধারে বৃষ্টি মাথায় করেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীরা কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে গ্রামে যান৷ তাঁরা পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেন, প্রসব যন্ত্রণায় কাতরানো ওই মহিলাকে ওই অবস্থায় স্থানীয় রাধানগরীর জঙ্গল পেরিয়ে পাকা রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। কারণ সেখান থেকেই মিলবে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স৷ সিদ্ধান্তমাফিক ওই মহিলাকে ঝুড়িতে বসিয়ে দু’টি বাঁশের সাহায্যে কাঁধে তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও আশা সেবিকাদের সঙ্গে নিয়ে রওনা দেন পরিবারের লোকজন। 

জঙ্গলের রাস্তা ধরে হাঁটার পথেই ওই সন্তানসম্ভবা মহিলার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। অগত্যা উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীরা জঙ্গলের মধ্যেই ওই মহিলার সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা শুরু করেন। মুষলধারায় বৃষ্টিতে জল কাদা ভর্তি রাস্তা, তাও আবার জঙ্গলের পথ। তবুও সব প্রতিকূল পরিস্থিতি উপেক্ষা করেই ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে ওই মহিলার সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করেন অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা। সেখানেই ওই মহিলা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তার পর মা ও সন্তানকে বৃষ্টি মাথায় করেই আবার বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার মা ও সন্তানকে একইভাবে ঝুড়িতে বসিয়ে বাঁশের সাহায্যে কাঁদে চাপিয়ে পিচ্ছিল কাঁচা রাস্তা ধরে হেঁটে পাকা সড়কে আনা হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মা ও সন্তান, দু’জনেই ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *