নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯’এর সঙ্গে লড়াই করার জন্য এবার সরাসরি ময়দানে নামতে চলেছে ভারতীয় সেনা। সোমবার এ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন রাওয়াত। সেই বৈঠকেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে মোকাবিলায় দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে দেশের সেনাবাহিনী। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গত দুই বছরে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে যেসব চিকিৎসকরা অবসর নিয়েছেন বা অকাল অবসরে রয়েছেন তাদেরকে পুনরায় কাজ করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে। তাদের বর্তমান থাকার জায়গার আশেপাশেই কাজের নির্দেশ দেওয়া হবে।
সোমবারের বৈঠকে জেনারেল বিপিন রাওয়াত কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীর গৃহীত প্রস্তুতি ও অপারেশনগুলি পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় আর্মি, বায়ুসেনা ও নৌসেনা মিলিয়ে যত মেডিকেল অফিসার এই মুহূর্তে বায়ুসেনা ও নৌসেনার কমান্ড হেডকোয়ার্টার, ডিভিশন হেডকোয়ার্টার, কর্পস হেডকোয়ার্টার, সিমিলার হেডকোয়ার্টারে কর্মরত রয়েছেন তাদের দেশ জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়োগ করা হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাওয়াত আরও জানিয়েছেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে যত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে তা বিভিন্ন হাসপাতালে দান করে দেওয়া হবে।
চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রচুর পরিমাণে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করবে। সামরিক চিকিৎসার পরিকাঠামো এখন থেকে অসামরিক সাধারণ মানুষের জন্য উপলব্ধ করা হবে।” দেশ জুড়ে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন ও জরুরি ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সৈনিক কল্যাণ বোর্ডের কথা উঠেছে। জানা গিয়েছে, অফিসারদের গোটা দেশের যেকোনো অঞ্চলে দায়িত্ব পড়তে পারে। তাদের নির্দেশ দেওয়া থাকবে প্রত্যন্ত থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েও সর্বাধিক সীমা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে।