নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেলেন না মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার। ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সুশীল চন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ইতিমধ্যেই তারা হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও বাংলার নির্বাচন এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনে করোনার সংক্রমণ হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে আরও বহুগুণ।
জানা গিয়েছে, আপাতত বাড়িতে থাকা অবস্থাতেই নির্বাচনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এই দুজন। বাড়ি থেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ পরিচালনা করছেন তারা। একইসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন দুজনে। পশ্চিমবঙ্গে এখনো তিন দফার নির্বাচন বাকি। তৃণমূল কংগ্রেস বাকি দফার নির্বাচনে একদিনে করতে বললেও অন্য কোনো রাজনৈতিক দল তাদের সহমত পোষণ করেননি। তাই নির্বাচন কমিশন দফা পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে আগামী ২২, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল বাকি তিন দফার ভোট সম্পন্ন হবে পশ্চিমবঙ্গে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন প্রার্থী ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন এবং যাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই দুইজন প্রার্থী মারা গিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দল নিজেদের কর্মসূচিতে কাটছাঁট করেছে। বামফ্রন্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা আর কোন বড় জনসমাবেশ করবে না। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন কলকাতায় তিনি আর কোন বড় জনসমাবেশ করবেন না এবং অন্য জায়গায় বক্তৃতা রাখলেও তার সময় কমিয়ে দেবেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিন্তু বিজেপি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় কোন কাটছাঁট হবে না। অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সভাও কোনরকম ভাবে বাতিল হবে না।