নয়াদিল্লি: পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির শেষকৃত্য৷ দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল অরুণ জেটলির৷ জেটলির শেষ বিদায় জানাতে হাজির দিল্লির সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ রয়েছেন অগণিত জনতা৷
জেটলিকে শেষবারের বিদায় জানাতে নিগমবোধ ঘাটে উপচে পড়া ভিড়৷ অরুণ বিদায় রাজনীতির নক্ষত্র পতন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল৷ আজ দুপুর দুটোই তাঁকে শ্মশান ঘাটে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানেই পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করার পর অরুণ জেটলির মুখাগ্নি করা হয়৷ জ্বলন্ত চিতার সামনে ভেঙে পড়েন অরুণ জেটলির পরিবার৷ চন্দন কাঠে সাজানো হয় তাঁর চিতা৷ হিন্দু ধর্মের নিয়মকানুন মেনে করা হয় অরুণ জেটলি শেষ বিদায়ের প্রস্তুতি৷ চিতা জ্বলতেই নেমে আসে মুষলধারে বৃষ্টি৷
কিডনি প্রতিস্থাপনের পর থেকে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন অরুণ জেটলি৷ ডায়াবেটিসের মারাত্মক প্রকোপও বেড়ে যাওয়ায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ দেখা দেয়৷ অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন অন্তবর্তী বাজেট পেশের সময় দেশে ছিলেন না জেটলি৷ কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য গিয়েছিলেন বিদেশ৷ সেখান থেকে ফিরে ফের অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বনেন৷ পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন৷ এমনকী বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে মন্ত্রিত্ব নিতেও আপত্তি তোলেন৷ গত ৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি৷ শনিবার সকালে তাঁর প্রয়াণ হয়৷
১৯৫২ সালে জন্মদেন জেটলি৷ সামলেছেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্ব৷ ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা৷ মোদির জমানায় প্রথম অর্থ ও বাণিজ্য দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন জেটলি৷ ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি৷ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্য হন৷ শ্রীরাম কলেজের বাণিজ্যে স্নাতক৷ পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিখ্যাত আইনজীবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷ ১৯৮৯ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য ছিলেন তিনি৷