আজ বিকেল: সরকারি আধিকারিক ওহ হো আরও নির্দিষ্ট করে বললে দুর্নীতি দমন শাখার হর্তাকর্তা, এমন কেউ আচমকাই আপনার পথ রোধ করে দাঁড়ালে হেনস্তার ভয়ে তো খানিকটা সিঁটিয়ে যাবেন। এতে কোনওরকম সন্দেহ থাকার কথা নয় নেইও, ঠিকই ধরেছেন অন্যায় না করলেও এমন দপ্তরের আধিকারিক যদি প্রশ্ন করতে মহিলার বাড়িতে ঢুকে পড়ে তাহলে প্রথমটায় ঘাবড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ জিজ্ঞাসাবাদের নামে আজকাল তো হেনস্তাই বেশি ঘটে। একদিকে এমন কেউ যদি এসে আপনার অপরাধের হিসেব দেয়, তারপর মনোবল ভেঙে দিয়ে টাকাপয়সায় রফা করতে চায় তখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন বৈকি। তবে কিছুক্ষণ কথা চালাচালির পর যদি বোঝেন প্রশ্নকর্তা আসলে জালিয়াত, তখন ব্রহ্মতালুতেও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে, আর সেই বিস্ফোরণের ভয়াবহতা নিয়ে নাই বা কিছু বললাম।
এমন ঘটনাই ঘটেছে জামশেদপুরে, বুধবার বেলার দিকে দেখা যায় সবুজ চপ্পল দিয়ে এক যুবককে বেধড়ক পেটাচ্ছেন মধ্যবয়সী এক মহিলা, তাঁর পরনে হলুদ কুর্তি। সেই ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। যুবক যত চটির আক্রমণ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে ততই চপেটাঘাত বাড়ছে। একহাত দিয়ে ঘেঁটি ধরে আর একহাতে চটি উঁচিয়ে চলছে মার। আর প্রহৃত যুবক হল একটা ঠকবাজ, যে নিজেকে অপরাধ দমন শাখার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে লোকজনের থেকে টাকা তুলে বেডায়। এটাই তার উপার্জনের পথ। এদিন সকালে ওই মহিলাকেও একইভাবে পাকড়াও করেছিল, কোনওভাবে বিষয়টি জানতে পেরেই ব্যুমেরাং হয়ে যায়। প্রথমে টাকার জন্য মহিলাকে ছাড়ছিল না ঠকবাজ, পরে যুবকের মতিগতি বুঝে তাকেই পালটা ধরে ফেলেন মহিলা। মারধরের মাঝেই পুলিশে খবর যায়। জনরোষ সামলে স্বস্তি পাওয়ার আগেই কোমরে দড়ি পরে শ্রীঘরে যেতে বাধ্য হয়েছে ওই যুবক।
এদিকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা মহিলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। জুতো পেটা যে ঠকবাজের উপযুক্ত পুরস্কার তাতে কোনও সন্দেহ নেই।