নয়াদিল্লি: চাঁদের দক্ষিণ মেরু এখন আর অনাবিষ্কৃত রইল না। আজ ইসরো ইতিহাস তৈরি করল। চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ প্রক্রিয়া সফল হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের লাইভ টেলিকাস্ট বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে সম্প্রচার করেছিল ইসরো। ল্যান্ডার বিক্রম কী ভাবে ধীরে ধীরে পাখির পালকের মতো চাঁদের মাটিতে নামল তার সাক্ষী থাকতে পেরেছে দেশ। চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ছিল। কারণ সেখানে জমি খুবই অমসৃণ। বড় বড় গর্ত, খাদ, সবই আছে। তাই চাঁদের মাটিতে লেজার রশ্মি ফেলে সেন্সরের মাধ্যমে অবতরণের জন্য উপযুক্ত ভূমি খোঁজে বিক্রম। সবশেষে ল্যান্ডিং সফল হল।
এবার জানা যাক, চাঁদের মাটিতে নেমে কী কাজ করবে চন্দ্রযান ৩। প্রথমত, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে চন্দ্রযান-৩ গবেষণার জন্য নানা তথ্য সংগ্রহ করবে ১৪ দিন ধরে। মূলত দক্ষিণ মেরুতে জল আছে কি না, বা সেই জায়গা মানুষের বসবাসের যোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখবে চন্দ্রযান ৩। এছাড়া চাঁদের মাটিতে কোন ধরনের খনিজ বস্তু আছে, কোন কোন উপাদান দিয়ে চাঁদের মাটি তৈরি, তা খতিয়ে দেখা হবে। ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর খুলে দেবে তার দরজা। সেই দরজা দিয়ে ঢালু পথে বেরিয়ে আসবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এরপর সেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ঘুরে বেরিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। জানা গিয়েছে, এই রোভারের সঙ্গে থাকবে একাধিক দিকনির্দেশক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। প্রজ্ঞান চাঁদ থেকে যা যা তথ্যসংগ্রহ করবে, তার সব কিছুই পাঠিয়ে দেবে ল্যান্ডার বিক্রমে। সেখান থেকে তা চলে আসবে ইসরোর কাছে।
চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করানো দেশের তালিকায় চতুর্থ হিসাবে নাম লেখাল ভারত। এর আগে আছে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু প্রথম আবিষ্কারের কৃতিত্ব ভারত একাই পাবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছেন। আজ সেখান থেকেই তিনি বিক্রমের অবতরণ প্রত্যক্ষ করলেন। ইসরোর সরাসরি সম্প্রচারে চোখ রাখেন মোদী। সফল অবতরণের পর নিজের বক্তব্যও রাখেন প্রধানমন্ত্রী।