নয়াদিল্লি: দেশে বিভৎসভাবে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণকে রুখতে রাজ্যকে আঞ্চলিক লকডাউন করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে কোনও জেলায়, শহরে কিংবা কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে সংক্রমনের গতিবিধি, সংক্রমিত হওয়ার হার ও হাসপাতলে ফাঁকা বেডের সংখ্যা ইত্যাদি সব দিক বিচার করে তবেই রাজ্যকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানাল কেন্দ্র।
সোমবার কেন্দ্রের তরফের জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও অঞ্চলে পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের নিচে হলে অর্থাৎ প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন সংক্রমিত হলে এবং ওই অঞ্চলের হাসপাতলে ৬০ শতাংশ বেড ভর্তি থাকলে তবেই লকডাউন করতে পারে রাজ্য। কোনও এলাকায় লকডাউন জারি করার আগে ওই এলাকার হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং ওই এলাকার সংক্রমনের গতিবিধি বিবেচনা করে তবেই করা যাবে লকডাউন। কেন্দ্রের তরফে কড়া নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে, লকডাউন ঘোষণার পরে ১৪ দিন পর্যন্ত জারি থাকবে সমস্ত রকম নিষেধাজ্ঞা।
‘কনটেইনমেন্ট জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা যেতে পারে কোনও অঞ্চলকে। সেক্ষেত্রে ওই অঞ্চলে কী কী নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে তাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। প্রথমত, কোনও অঞ্চলকে ‘কনটেইনমেন্ট জোন’ হিসেবে ঘোষণা করলে সেখানে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করতে হবে। আঞ্চলিক প্রশাসন ঠিক করবে সেই কার্ফু কতদিন চলবে। দ্বিতীয়ত, ধর্মীয়, রাজনীতি, খেলা বা বিনোদনমূলক কিংবা সামাজিক বিষয়ে কোনোধরনের বড় সমাবেশ করা যাবে না। তৃতীয়ত, বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জন ও শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ২০ জনের উপস্থিতি বেঁধে দেওয়া হবে। চতুর্থত, শপিং মল, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার, সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে। এছাড়াও, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস, ট্রেন, মেট্রো চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্ধেক সংখ্যক কর্মী নিয়ে অফিস চলতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে গবেষণাগার ও শিল্পকেন্দ্র চলতে পারে। তবে আন্তঃরাজ্য এবং অন্তঃরাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পরিবহনে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। জরুরী পরিস্থিতে খোলা থাকতে পারে কিছু দোকানপাটও।