নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার গোলযোগ দেখা গিয়েছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমাজমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে। দুপুর সাড়ে ১২ টার পর থেকে আচমকা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল এটি। প্রায় দু’ঘণ্টা পর এটি ঠিক হয়। এর পরিষেবা এইভাবে আচমকা বন্ধ হওয়ায় অনেকের সাইবার হানা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই হোয়াটসঅ্যাপের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। কী কারণে সমস্যা হয়েছে, সেটা স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : তথ্য হাতানো হল না তো? হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধে আতঙ্কে একাংশ
তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বুধবার সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। জানান হয়েছে, দেশে কয়েক লক্ষ গ্রাহক রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের। তাঁদের প্রত্যেককেই ওইদিন সমস্যায় পড়তে হয়েছিল, তাই বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আগেই অনেক গ্রাহক সন্দেহ করেছিল যে এত বড় গন্ডগোল আসলে কোনও সাইবার হানা হতে পারে। আর এইভাবেই চুরি করে নেওয়া হতে পারে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য। বিষয়টি যে অত্যন্ত গুরুতর হয়ে থাকতে পারে তা বলাই বাহুল্য। সেই কারণেই রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।
হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটা জানিয়েছিল, তারা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে সমস্যা শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টার ওপর কেটে যাওয়ার পরেও কর্তৃপক্ষের তরফে কিছুই জানান হচ্ছিল না। তাই ক্ষোভ বাড়ছিল ব্যবহারকারীদের। আর ঠিক এই জায়গাতেই প্রশ্ন। কেন কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমেই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কোনও বড় সংস্থায় যদি কোনও পরিবর্তন হয় তা হলে একসঙ্গে সব সার্ভার ডাউন করা হয় না। সবকিছু সচল রেখেই কাজ করা হয়। কিন্তু সেদিন তা হয়নি।