নয়াদিল্লি: ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে কেন্দ্র৷ যে রাজ্যগুলিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তুলনামূলক কম, সেই রাজ্যগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানায় কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন- সয়াবিন থেকে সর্ষে, একধাক্কায় অনেকটাই সস্তা ভোজ্য তেল, স্বস্তিতে মধ্যবিত্ত
এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ভবিষ্যতে দেশে অনিচ্ছাকৃত জটিলতা এড়াতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন করে একটি হলফনামা দাখিল করছে তারা। তবে গত ২৭ মার্চ এ বিষয়ে একগুচ্ছ রিট পিটিশনের বিরোধিতা করেছিল মোদী সরকার। হলফনামায় বলা হয়, খ্রিস্টান, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি এবং জৈন-এই ছয়টি সম্প্রদায়কে জাতীয় স্তরে সংখ্যালঘু হিসাবে উল্লেখ করা হয়। তবে যে সকল রাজ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তুলনামূলক কম বসবাস করে, সেখানকার হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। হলফনামায় আরও বলা হয়, যদি কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যা কম থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট সরকার বা প্রশাসন সেখানকার হিন্দুদের একটি ধর্মীয় বা ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসাবেও অবহিত করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, ২০১৬ সালে এই ভাবেই মহারাষ্ট্র সরকার ইহুদিদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দিয়েছিল৷ নতুন হলফনামায় কেন্দ্র এও জানিয়েছে যে, সংখ্যালঘু অবহিত করার বিষয়টি কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত থাকলেও, এ নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে তারা বিশদে আলোচনা করতে চায়৷
এর আগে প্রতিটি রাজ্যে মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণী ভাগ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (এনসিএমইআই) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করা হয়। ওই ধারায় দেশে মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সি সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হয়েছে দেশে। কিন্তু মামলাকারীর দাবি, দেশের ৯টি রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>