নয়াদিল্লি: দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বহু দিন ধরেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর পরিকল্পনা করে আসছেন। এই নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তরফে সওয়াল করা হয়েছে। কিন্তু এতদিনে এই ইস্যুতে তেমন কোনও তৎপরতা শুরু হয়নি। তবে এবার হল। আগামী দিনে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকরী করার ক্ষেত্রে যে কাজ করতে লাগবে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আইন কমিশন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফেও বড় ইঙ্গিত মিলেছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল জানিয়েছেন, নীতি আয়োগ, আইন কমিশন, নির্বাচন কমিশন এই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক। তারাও একে সমর্থন করছে। তাই আপাতত এই নীতি কার্যকর করার ব্যবহারিক দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। কিন্তু এই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে লাভ কী হবে? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
তাঁর কথায়, বারবার নির্বাচনের জন্য যে বিপুল টাকা খরচ হয়, সেটা সাশ্রয় হবে। আবার একাধিক নির্বাচন করতে যে সময় লাগে, সেটাও বাঁচানো যাবে। পাশাপাশি বারবার নির্বাচন হলে আদর্শ আচরণ বিধির জন্য অনেক কাজ থমকে থাকে বহুদিন, উন্নয়নের কাজ আটকে যায়, সাধারণ মানুষের সমস্যা হয়। সেই ঝামেলা থেকেও মুক্তি মিলবে। যদিও এই পন্থার বিরোধিতা শুরু থেকেই করে আসছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এই নিয়ম চালু হলে কেন্দ্র এবং রাজ্যের নির্বাচনের বৈচিত্র হারাবে, আখেরে বিজেপির সুবিধা হবে। কারণ নির্বাচনগুলি জাতীয় ইস্যু দ্বারা প্রভাবিত হবে।