নয়াদিল্লি: ক্ষুধা সূচকের সাম্প্রতিক রিপোর্ট ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছিল কারণ ১১৬ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান হয়েছে ১০১। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছে একাধিকবার এবং জবাব চাওয়া হয়েছে ভারতের এই অবস্থা সম্পর্কে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি কিন্তু এবার করল। কেন্দ্রের তরফ থেকে এই রিপোর্ট সম্পর্কে বলা হল, আসল ছবি ধরা পড়েনি এই রিপোর্টে। আদতে ভারতের অবস্থা খারাপ নয়।
কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী জানাচ্ছেন যে এই রিপোর্টে নেপাল এবং বাংলাদেশ ভারতের অনেক আগে অবস্থান করছে যা বিশ্বাসযোগ্য নয়। রিপোর্ট থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে ভারত আগের অবস্থা থেকে ক্রমশ উন্নতি করেছে। তিনি বলছেন, গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারতের স্কোর ২০০০ সালে ছিল ৩৮.৮। কিন্তু এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ২৭.৫-এ, অর্থাৎ দেশ আগের তুলনায় অনেক বেশি উন্নতি করেছে ক্ষুধা মেটাতে। এমনই দাবি করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে তিনি আরো জানাচ্ছেন, যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সেখানে শিশুমৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হলেও তার পাশে কারণ হিসাবে অপুষ্টি বা ক্ষুধা লেখা হয়নি তাই এটা পরিষ্কার নয় যে সেই কারণেই শিশু মৃত্যু ঘটেছে। পাশাপাশি খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত আইনের কথা উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তার দাবি গ্রামাঞ্চলে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ মানুষের সমস্যা মিটিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য গত বছর এই সূচকে ভারতের স্থান ছিল ৯৪। কিন্তু চলতি বছর সেখান থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে ভারত। তবে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার কোনো মন্তব্য করতে চাই না কিন্তু আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিচ্ছিলো যে এই রিপোর্ট ভুয়ো। এমনকি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আলোচনা করা হয়েছে। তবে এখন অবশেষে মুখ খুলল কেন্দ্রীয় সরকার।