কৃষক-বিদ্রোহ: মুখ পুড়িয়ে ২ রাজ্যে ধান কেনার নির্দেশ কেন্দ্রের

কৃষক-বিদ্রোহ: মুখ পুড়িয়ে ২ রাজ্যে ধান কেনার নির্দেশ কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে গোটা দেশের কৃষক সমাজ৷ পঞ্জাব-হরিয়ানা থেকে আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে৷ গতকাল থেকে অমৃতসর ও ফিরোজপুরে রেল রোকো আন্দোলন শুরু করেছে কিসান মজদুর সংঘর্ষ সমিতি। চলছে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি৷ ব্যাপক আন্দোলনের ধাক্কায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র৷ শনিবার পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় অবিলম্বে খারিফ শস্য (চাল/ধান) সংগ্রহের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিল সরকার৷ 

আরও পড়ুন- বাতিল হতে পারে বহু রেশন কার্ড! ৪ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না দিলে বিপত্তি!

২০২০-২১ সালে প্রতিটি রাজ্যে খারিফ মার্কেটিং সিজন (কেএমএস) শুরু হওয়ার কথা ছিল সামনের সপ্তাহে৷ কিন্তু প্রবল কৃষক আন্দোলনের জেরে শনিবার থেকেই পঞ্জাব ও হরিয়ানায় খারিফ শস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র৷ এদিন ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও সার্বজনিক বিতরণ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘১ অক্টোবর থেকে প্রতিটি রাজ্যে খারিফ মার্কেটিং সিজন শুরু হওয়ার কথা ছিল৷ এফসিআই সহ এজেন্সিগুলি খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে৷’’ মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়, ‘‘পঞ্জাব ও হরিয়ানায় মান্ডিগুলিতে খারিফ শস্য পৌঁছে গিয়েছে৷ তাই আগাম ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কৃষকরা যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন না, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ৷’’ 

‘অত্যাবশ্যক পণ্য আইন’ সংশোধন, ‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’ সংক্রান্ত বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকেই বিদ্রোহ শুরু করেছে দেশের কৃষকরা৷ কৃষকদের দাবি, এই আইনের ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) থেকে বঞ্চিত হতে হবে তাঁদের৷  

আরও পড়ুন- মোদীর ‘আত্মনির্ভর’ অভিযানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আইএমএফ

অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি, কৃষি বিপণন ব্যবস্থাকে মান্ডির ক্ষুদ্র গণ্ডি থেকে মুক্তি দিতেই এই আইন। মান্ডি আগের মতোই থাকবে৷ তবে তাঁদের পণ্যকে মান্ডিতেই বিক্রি করতে হবে, সেই দায় আর থাকবে না কৃষকদের। তবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন না কৃষকরা৷ কিন্তু বিরোধীদের দাবি, মন্ডির বাইরে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে ফসল বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা তার চেয়ে বেশি দরে ফসল কিনতে বাধ্য থাকবেন, এমন কোনও শর্তের কথা বিলে নেই৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × one =