নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক মাস ধরেই একাধিক করোনার প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যেই একটিকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ বলা হচ্ছিল। কিন্তু এই শব্দ নিয়ে আপত্তি রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। সোশ্যাল সাইটে যাতে এই শব্দ ব্যবহার না করা হয় তা নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। করোনার বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টকে যে সমস্ত কনটেন্টে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বা ডাকা হয়েছে, সেগুলিকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফ থেকে। কোনও ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না এই শব্দ।
কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক জানাচ্ছে, একটি ভুয়ো মন্তব্য তথ্যের আকারে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে বলা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ ছড়িয়ে পড়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ বৈজ্ঞানিকভাবে তেমন কোনও প্রজাতির করোনাভাইরাসকে চিহ্নিত করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই প্রেক্ষিতে যে যে মন্তব্য এবং তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে বলে নির্দেশ দেওয় হয়েছে। মূলত, ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য যে ভাইরাসকে দায়ি করা হচ্ছিল তাকেই ‘ভারতীয় প্রজাতি’ বলা হচ্ছিল করোনার। এই নামকরণ নিয়েই আপত্তি কেন্দ্রের।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত দেশ। একাধিক রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত মাত্রাহীন আকার ধারণ করেছে। খুব একটা ভাল অবস্থা না পশ্চিমবঙ্গেরও। সেখানেও দৈনিক মৃত্যুর হার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯, ৮৪৭ জন। একদিনে রাজ্যে করোনার বলি ১৫৯ জন। মৃতদের মধ্যে ৪৭ জনই উত্তর ২৪ পরগনার। কলকাতায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। গতকালের তুলনায় কিঞ্চিত কম মৃত্যু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তবে সুস্থতার হার ৮৮.১১ শতাংশ। একদিনে রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন, ১৯, ০১৭ জন। রাজ্যে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, এখানে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,২৪০ জন। তার পরেই রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে ৩,৫৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাতে।