নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস নতুন প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে কারণ এই প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, বাংলা ও কর্ণাটকেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ রয়েছে৷ দেশের ১৭টি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৫৮ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে৷ ১১৪ জন ওমিক্রন নেগেটিভ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকাকরণ এই প্রজাতি রুখতে সঙ্গ দেবে কিন্তু অনেকেই মনে করছেন যে এটাও যথেষ্ট নয়। আর এই নিয়ে নয়া সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানান হয়েছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ভ্যাকসিন যথেষ্ট নয়। কারণ এই প্রজাতির বহুবার মিউটেশন ঘটছে।
কেন্দ্রের তরফ থেকে জানান হয়েছে, দেশে যারা ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ টিকাপ্রাপ্ত। সঠিক হিসেবে দেখা যায়, ১০ জনের মধ্যে ৯ জন টিকাপ্রাপ্ত ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্র বলছে, এই সংক্রমণ রুখতে কেবলমাত্র ভ্যাকসিনই পর্যাপ্ত নয়। কারণ একাধিকবার অভিযোজিত হয়ে তৈরি হওয়া এই প্রজাতি টিকাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এই বিষয় জানিয়েছেন যে, দেশের ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ২৭ শতাংশের ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এদিকে, যে ওমিক্রন আক্রান্তদের নিয়ে এই পর্যালোচনা চালানো হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, ৮৭ জনই সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত। আবার ৩ জন বুস্টার ডোজও নিয়েছেন। তাই কেন্দ্র স্পষ্ট করে জানাচ্ছে যে, টিকার পাশাপাশি সার্বিকভাবে কোভিড বিধি মেনে চললেই এই প্রজাতিকে হারানো সম্ভব।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশী ইতিমধ্যে দাবি করেছেন যে, ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নয়া প্রজাতি ‘ডেলমিক্রন’। সেটাই নাকি এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ছোটখাটো সুনামি এনেছে। এটিই করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি। এর কারণে আগামী দিনে বড় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হতে চলেছে। তাঁর কথায়, ডেল্টা এবং ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিন মিশে গিয়ে এই নয়া প্রজাতি সৃষ্টি হয়েছে যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। অনেকে বলছেন, চিকিৎসক জোশী হয়তো ডেল্টা এবং ওমিক্রনের যৌথ সংক্রমণের কথা বলতে চেয়ে এমন কথা বলেছেন। তাকেই তিনি ‘ডেলমিক্রন’ বলছেন।