নয়াদিল্লি: ৩৪ বছর পর ব্যাপক রদবদল হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায়। কেন্দ্রের প্রবর্তিত নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুলশিক্ষায় শিক্ষাদানের পদ্ধতিতে যেমন বদল আনা হচ্ছে, তেমনই বদল আসছে উচ্চশিক্ষাতেও৷ এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন (ইউজিসি) এবং অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)-এর পরামর্শ চাইল কেন্দ্র৷
আরও পড়ুন- ধুলোমাখা পথে বসেই সারমেয়র শুশ্রূষা, নেটিজেনরা বলল ‘কিংস অফ ইন্ডিয়া’
জি মিডিয়া সূত্রে খবর, গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকেই অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনতে চাইছে কেন্দ্র৷ এর ফলে ক্লাস চালানোর ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির চাপ অনেকটা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আইআইটি এবং আইআইএম-এর মতো দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতেও অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে কেন্দ্র৷ সূত্রের খবর, এই বিষয়ে ইউজিসি ও এআইসিটিই-র প্রতিক্রিয়া কি, তা জানতে চেয়েছে পিএমও এবং নীতি আয়োগ৷ এই বিষয়ে একটি নীলনকশা তৈরির করতে এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুধে এবং ইউজিসি-র ভাইস চেয়ারম্যান ড.এমপি পুনিয়ার নেতৃত্বে একটি প্যানেলও গঠন করা হয়েছে৷ দেশের পড়ুয়াদের উন্নত অনলাইন শিক্ষার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির গুরু দায়িত্ব সঁপা হয়েছে তাঁদের হাতে৷ এছাড়াও এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির দায়িত্বও ন্যাস্ত হয়েছে তাঁদের উপর৷
আরও পড়ুন- বকেয়া স্কুল ফি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের, মাথায় হাত অভিভাবকদের!
সম্প্রতি উপাচার্য এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টরদের কাছে লেখা চিঠিতে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুধে৷ ভারতকে সমগ্র বিশ্বের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণের প্রাথমিক উৎস হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্ভাবনী চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়াদের বিকল্প অ্যাপ, পণ্য এবং প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানোর জন্য উৎসাহ দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউশন অফ টেকনোলজিগুলিকে (আইআইটি) চিনা অ্যাপের বিকল্প তৈরির আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখারিয়াল নিশাঙ্ক৷
আরও পড়ুন- সেপ্টেম্বর থেকে ফের স্কুল, কীভাবে? ‘সুইজ-মডেলে’ রাজ্যের মত চাইছে কেন্দ্র
গত ২৯ জুন নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি প্রবর্তন করে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ এই শিক্ষাব্যবস্থায় উচ্চশিক্ষায় মাল্টিপল এন্ট্রি-এক্সিট ব্যবস্থা, উচ্চ শিক্ষাকে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার আওতায় আনা হয়েছে৷ এছাড়াও পুরনো পরিকাঠামো ভেঙে নতুন শিক্ষানীতিতে করা হয়েছে ৫ + ৩ + ৩ + ৪।