নয়াদিল্লি: ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাসের পর এবার করোনা ভাইরাস নতুন প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্ক শুরু হয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই নতুন প্রজাতির যার মধ্যে রয়েছে ভারত। বিগত কয়েক মাস ধরে ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং এখন দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কার্যত নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এই নতুন প্রজাতির খোঁজ নিলে স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগ বাড়ছে। সেই প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে যায় তার জন্য আগে থেকেই সতর্কবার্তা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে ভারত সরকার সব রাজ্যগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সহ সব রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত অতি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে পর্যটক আসলে তাদের ওপর বাড়তি নজরদারি দিতে হবে। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত স্ক্রিনিং এবং টেস্টিং করতে হবে। এর পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা করোনাভাইরাস পরীক্ষা বাড়ায় কারণ অনেক রাজ্যেই হঠাৎ করে rt-pcr টেস্ট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় এখনো কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে আছে সেখানে সংক্রমণ বৃদ্ধি হচ্ছে কিনা তার দিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় জোর দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সাংবাদিক বৈঠক করে প্রতিদিনের করোনাভাইরাস আপডেট দিতে হবে রাজ্য প্রশাসন এবং নির্দিষ্ট সময় কেন্দ্রকেও রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে হবে।
এই নতুন করোনাভাইরাস প্রজাতি নিয়ে এখনো পর্যন্ত বেশি কিছু পরীক্ষামূলক ভাবে জানা যায়নি কিন্তু যতটা জানা গিয়েছে তার ভিত্তিতে একাধিক তথ্য দিয়েছে ‘হু’। তারা জানাচ্ছে, এই নতুন প্রজাতির কারণে ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন এমন ব্যক্তি যিনি আগেও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছিলেন। ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় এই প্রজাতি বেশি সংক্রমক বলে মনে করা হলেও আদতে তা কত বেশি সংক্রামক তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তাই অবশ্য হবে সকলকে বেশি সতর্ক থাকতে হবে বলেই পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে তারা আরো উদ্বেগজনক তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, টিকা নেওয়া থাকলে তার প্রভাব এই নতুন প্রজাতির উপর কতটা পড়বে সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। এর কারণ এই প্রজাতির নতুন কোন উপসর্গ মেলেনি।