নয়াদিল্লি: ভারতে নিষিদ্ধ হতে চলেছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা VPN৷ এটি এমন একটি পরিষেবা যার মাধ্যমে এককথায় নিজেকে লুকিয়ে রাখা যায়৷ অর্থাৎ আপনি কোন সাইট সার্ফিং করছেন, কী ডাউনলোড করছেন সব কিছুই আড়াল থাকে৷ তাই ভিপিএন-এর জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে৷ সাধারণ ইউজার তো বটেই বড় বড় ব্যবসায়ীরাও ভিপিএন ব্যবহার করে থাকেন৷ কিন্তু এবার ভিপিএন-এ আপত্তি জানাল পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি৷ যার জেরেই সম্ভবত ভারতে নিষিদ্ধ হতে চলেছে ভিপিএন৷ তেমনই চিন্তা ভাবনা চলছে৷
আরও পড়ুন- ‘দিদিকে বলো’-কে অনুসরণ বিপ্লবের! নতুন কৌশল ত্রিপুরার জন্য
মনে করা হচ্ছে ভিপিএন দেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে৷ এর ফায়দা তুলতে পারে সাইবার অপরাধীরা৷ ভিপিএন-এর আড়ালে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পালতেও তা ধরা সম্ভব হবে না৷ কারণ এই পরিষেবা ব্যবহার করা হয়, যাতে থার্ড পার্টি ট্র্যাকার, ইউজারের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, ওয়েবসাইট, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার সহ অন্যান্য ডিভাইস কী কাজ করছে তা সনাক্ত করা সম্ভব না হয়৷ ভিপিএন ব্যবহার করে অনলাইনে কী কাজ হচ্ছে, সেটাও জানা সম্ভব নয়৷ তাছাড়াও সরকার কিছু নির্দিষ্ট সিনেমা, সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল, গেম এবং পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের অ্যাক্সেস বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু ভিপিএন এই সাইটগুলি ব্যবহারে অনুমতি দেয় ইউজারদের৷
আরও পড়ুন- কেরল নিয়ে চিন্তা কমছে না, বাড়ছে দেশের অ্যাক্টিভ কেস
আবার অনেক সংস্থা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ক্ষেত্রে নিজস্ব সার্ভার ইউজ করে থাকে৷ সেক্ষেত্রে ভিপিএন-এর সুবিধা নেওয়া হয়৷ আবার বহু ইউজার ভিপিএন ব্যবহার করে নিষিদ্ধ সাইটে ঢুকে পড়ে৷ তবে গোপনীয়তা রক্ষার পাশাপাশি হ্যাকারদের হাত থেকেও বাঁচা যায় ভিপিএন-এ৷ এখন ভিপিএন-এর ভবিষ্যৎ কী হবে তা আপাতত কেন্দ্রের হাতে৷