নয়াদিল্লি: পঞ্জাবের ভাতিন্দায় যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে আলোচনা এখনও বর্তমান। কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া তো রয়েছেই, এই ইস্যু নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। প্রবীণ আইনজীবী মনিন্দর সিং সুপ্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির জন্য পঞ্জাব সরকারকে দায়ী করে একটি আর্জি দাখিল করেন। সেই প্রেক্ষিতেই আদালতে দাবি করা হয়েছে যে, পঞ্জাবে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আন্তর্জাতিক মহলে লজ্জায় পড়তে পারে দেশ। কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা এমন বক্তব্য রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ইস্যুতে যে মামলা চলছিল সেই মামলার শুনানিতে আজ কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, পঞ্জাবের ঘটনার জন্য পঞ্জাব সরকার এবং পুলিশ দু’জনেই দায়ি। সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারত। এর কারণেই বিশ্ব মহলে ভারতের নাম খারাপ হত, লজ্জায় পড়তে হত দেশবাসীকে। তবে এই শুনানিতে পঞ্জাব সরকারের তরফে জানান হয়েছে, তারাও এই ঘটনার তদন্ত চায়। উল্লেখ্য, পঞ্জাব সরকারের তরফে দুই সদস্যের একটি তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছে এই ঘটনার জন্য। এই তদন্তকারী দলের সদস্য হলেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মেহবাত গিল এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখ্যসচিব অনুরাগ ভর্মা। এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীর সফর সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
ভাতিন্দা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি তীব্র সমালোচনা করে দাবি করেছিলেন, পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার প্রধানমন্ত্রীকে ঘৃণা করে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছে। পরিকল্পনা করে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে যাতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি হয়। এটা একটা ষড়যন্ত্র। তিনি আরও বলেন, কোনও নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রোটোকল মানা হয়নি। পঞ্জাব পুলিশ চুপ করে ছিল। যদিও ওই দিন বেশ কিছু বিজেপি সমর্থককে মোদীর কনভয়ের আশেপাশে দেখা গিয়েছিল। তাদের হাতে ছিল বিজেপির পতাকা। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।