কলকাতা: মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মিশনারিজ অব চ্যারিটির। সেই সংস্থা সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আচমকা এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে হইহই শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এই খবর শুনে তিনি স্তম্ভিত। এদিকে, কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
জানা গিয়েছে, মাদার হাউজের সবক’টি অ্যাকাউন্টের আর্থিক লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যদিও এই নিয়ে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দেয়নি মিশনারিজ অব চ্যারিটি। ঠিক কোন তদন্তের কারণে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও অনেকেই মনে করছেন যে সম্প্রতি যে বিতর্কে জড়িয়েছিল মাদার টেরিজার সংস্থা, তার কারণেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। আসলে কিছুদিন আগেই ধর্মান্তরণের অভিযোগ উঠেছিল এই সংস্থার বিরুদ্ধে। গুজরাতের বডোদরা শহরে এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল। ধর্মান্তরণ ছাড়াও হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ছিল মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিরুদ্ধে। তাই মনে করা হচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে তাদের।
গোটা ঘটনায় মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে লিখেছেন, ”খবর শুনে স্তম্ভিত যে ক্রিসমাসের দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারতের মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের ২২ হাজার কর্মী এবং রোগীরা খাদ্য ও ওষুধ পাচ্ছে না।” প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে কলকাতায় মাদার টেরিজা মিশনারিজ অব চ্যারিটি স্থাপন করেন। কলকাতার পাশাপাশি ভারতে এবং দেশের বাইরেও বহু জায়গায় এই সংস্থা কাজ করছে।