নয়াদিল্লি: লকডাউনে দেশে কত পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল? সেই তথ্য জানে না কেন্দ্র। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের অভাবে কতজন মারা গিয়েছেন? সেই তথ্যও নেই কেন্দ্রের কাছে। এদিকে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে যে দেশের গরীবরা সরকারের কাছে অগ্রাধিকার, অথচ এবার জানা গেল যে দেশে কত সংখ্যক গরিব মানুষ রয়েছেন সেই ব্যাপারেও কিছুই তথ্য নেই কেন্দ্রের কাছে। এটা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
সংসদে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সময়ে দেশে গরিবদের সংখ্যা কত সে বিষয়ে সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই! অর্থাৎ দেশে এই মুহূর্তে গরিবদের সংখ্যা কত তা জানে না কেন্দ্র। দেশের গরীব মানুষদের জন্য একাধিক প্রকল্প এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গরিব কল্যাণ অন্য যোজনা, আবাস যোজনা, রোজগার যোজনা, কিন্তু এই মুহূর্তে কার্যত সরকার মেনে নিচ্ছে যে তাদের কাছে গরিবদের সংখ্যার ব্যাপারে কোনো তথ্যই নেই। অবাক করার মত বিষয় হলেও এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, দেশের গরিবদের নিয়ে সমীক্ষা করে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অর্গানাইজেশন। কিন্তু বিগত কমপক্ষে ৮ বছরের সেই সমীক্ষার রিপোর্ট আসেনি কেন্দ্রের হাতে। পরবর্তী ক্ষেত্রে সমীক্ষা হলে সেই তথ্য পাবে কেন্দ্র কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এখন এই সমীক্ষা করা সম্ভব নয়। যদিও কেন্দ্রের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় বিরোধীরা। তারা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ‘দরজা ভাঙার দৃশ্য অবাঞ্ছিত’, বিজেপি নেতার গ্রেফতারি নিয়ে কুণাল
কংগ্রেসের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার গরিবদের পাশে থাকার কথা বলে কিন্তু তাদের কাছে শিল্পপতিদের তথ্য রয়েছে, কারণ আসলে তারাই তাদের অগ্রাধিকার। এই কথা বলার অন্যতম কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ধনকুবেরদের সংখ্যা কত সেই তথ্য খুব স্পষ্ট ভাবে রয়েছে। জানানো হয়েছে, ২০২০-২১ সালে দেশের মোট ১৩৬ জনের বার্ষিক আয় ছিল ১০০ কোটি টাকার বেশি। ২০১৯-২০ সালে তা ছিল ১৪১ জন, তবে চমকপ্রদ ব্যাপার ঠিক তার আগের আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০১৮-১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৭ জন। কোটিপতির সংখ্যা জানা থাকলে, গরিবের সংখ্যা অজানা কেন? প্রশ্ন এখানেই।