নয়াদিল্লি: মিশনারিজ অব চ্যারিটির সবক’টি অ্যাকাউন্টের আর্থিক লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যদিও এই নিয়ে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দেয়নি মিশনারিজ অব চ্যারিটি। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় সরকার বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কেন্দ্র বলছে, সংস্থার তরফ থেকেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল! কারণ বলা হলেও এই নিয়ে বিতর্ক থামছে না। ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল সম্প্রতি যে বিতর্কে জড়িয়েছিল মাদার টেরিজার সংস্থা, তার কারণেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। আসলে কিছুদিন আগেই ধর্মান্তরণের অভিযোগ উঠেছিল এই সংস্থার বিরুদ্ধে। গুজরাতের বডোদরা শহরে এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল। ধর্মান্তরণ ছাড়াও হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ছিল মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিরুদ্ধে। তাই মনে করা হচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে তাদের। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রসঙ্গ নস্যাৎ করে জানিয়েছে, কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ায় সংস্থার লাইসেন্স রিনিউ করা হয়নি, আর তারা নিজেরাই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছিল।
গোটা ঘটনায় মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে লিখেছেন, ”খবর শুনে স্তম্ভিত যে ক্রিসমাসের দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারতের মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের ২২ হাজার কর্মী এবং রোগীরা খাদ্য ও ওষুধ পাচ্ছে না। আইন বড় বলেও মানবিকতার কাজ যেন বন্ধ না হয়।” প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে কলকাতায় মাদার টেরিজা মিশনারিজ অব চ্যারিটি স্থাপন করেন। কলকাতার পাশাপাশি ভারতে এবং দেশের বাইরেও বহু জায়গায় এই সংস্থা কাজ করছে।