নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের রক্তচক্ষু আপাতত কাটিয়ে উঠেছে দেশ। তবে এবার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে তৃতীয় ঢেউ আটকানোর। যদিও বিশেষজ্ঞ মহল অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে ভারতে তৃতীয় ঢেউ অবধারিত। তবে নিয়ম বিধি সঠিকভাবে মেনে চললে এবং টিকাকরণের গতি বাড়ালে এই ঢেউয়ের তীব্রতা কমানো যেতে পারে। তবে করোনাভাইরাস তৃতীয় নিউ নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছে কেন্দ্র কারণ জানানো হচ্ছে যে ভারতে এখনো হার্ড ইমিউনিটি সেই ভাবে গঠিত হয়নি। তাই আগামী ১২০-২৫ দিন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ভিকে পল জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে হার্ড ইমিউনিটি লাগে সেটা এখনো দেশে আসেনি। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। পালন করতে হবে করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি। হার্ড ইমিউনিটি সঠিকভাবে তৈরি হয়নি বলেই দেশের নানা জায়গায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই দাবি করা হচ্ছে যে আগামী কমপক্ষে ৩ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশের জন্য। চিকিৎসক মহলের একাংশ আবার ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ ভারতে অন্ততপক্ষে ৯৮ দিন স্থায়ী হবে। তাই অবশ্য ভাবে আগামী কয়েক সপ্তাহ যে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক সচেতন হয়ে এবং করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ব্যাপক আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তারাও একদিকে যেমন ভাইরাসের প্রেক্ষিতে নিয়মবিধি মানতে বলছে, অন্যদিকে টিকাকরণে জোর দিতে বলছে।
আরও পড়ুন- মাসে প্রায় দেড় কোটি করে টিকা চাইছেন মমতা! বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ
আসলে অনেকেই মনে করছেন যে একটি বা দুটি টিকা নেওয়ার পর মাস্ক ব্যবহার করতে লাগবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে এটাই সব থেকে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মানুষ। কারণ লকডাউন একাধিক জায়গায় তিল হওয়ার পর যখন মাস্ক ছাড়া মানুষ বেরোচ্ছেন, পরবর্তীকালে সেই সব জায়গাতেই সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। তাই মনে করা হচ্ছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আগের মতোই সর্তকতা অবলম্বন করা এই মুহূর্তে প্রচন্ড জরুরি কারণ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে মনে হলেও তা আদতে ভুল ধারণা। ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে তৃতীয় ঢেউ।