নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে রেকর্ড টিকাকরণ হয় ভারতে। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাপকভাবে প্রচার করেছিল। কিন্তু বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিল যে এই রেকর্ডে গোঁজামিল আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টিকাকরণ তথ্যে গলদ রয়েছে। কিন্তু সেই সময়ে এই বিষয়ে স্বীকার করে না নেওয়া হলেও এখন তা স্বীকার করছে কেন্দ্র। আর এর মূলে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্নের উত্তরেই কার্যত কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাপারটি স্বীকার করে নিয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছে, কিছু কিছু জায়গায় তথ্যে গলদ ছিল। আসলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল যে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে এমন মানুষের নাম টিকা প্রাপকের তালিকা ঢুকেছে যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। আবার এমনও ঘটনা ঘটেছে যে মৃত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যার উত্তর কেন্দ্র কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে যে এই ধরনের ঘটনা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘটেছে। তবে তাদের দাবি এটা নিতান্তই ডাটা এন্ট্রির সমস্যা। স্বাস্থ্যকর্মীদের আপডেট করাতে কিছু ভুল হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই ধরনের স্বীকারোক্তি তাদের চরম অস্বস্তিতে ফেলবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিন যেভাবে প্রচার করা হয়েছিল টিকাকরণ রেকর্ডের তা এতে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেল।
তবে টিকাকরণে যে গলদ হচ্ছে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ সম্প্রতি বিহারে ঘটে যাওয়া ঘটনা। যারা যারা টিকা নিয়েছেন তাদের তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর হইচই লেগে গিয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। তালিকায় নাম ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার! বিহারের এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ধরনের টিকা প্রাপ্তের তালিকা পাওয়া গিয়েছিল।