নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন রবিবার বিকেলে জানিয়েছেন, সরকার দেশের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি লোককে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে। ডাঃ বর্ধন বলেন, সরকার এই লক্ষ্যে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজের দায়িত্ব নেবে এবং এটির ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, অক্টোবরের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত সরকারগুলিকে অগ্রাধিকারের জনসংখ্যার গোষ্ঠীগুলির বিবরণ প্রেরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের (সরকারি ও বেসরকারি খাতের উভয় কর্মচারী) একটি রেফারেন্স পাঠাতে হবে। তারা এই টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে থাকবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “ভ্যাকসিন সংগ্রহ কেন্দ্রীয়ভাবে করা হচ্ছে এবং প্রতিটি চালান ট্র্যাক করা হবে। ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সরকার ভারতীয় ভ্যাকসিন নির্মাতাদের পুরোপুরি সমর্থন করছে এবং ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” ভ্যাকসিন নিয়ে যখন বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে, তখনই এমন মন্তব্ করলেন হর্ষ বর্ধন। ভারতে তিনটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে কোভিশিল্ডও, যা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফার্মা জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথভাবে তৈরি করেছে।
কোভিশিল্ড দ্বিতীয় ধাপে এবং তৃতীয় ধাপে মানব পরীক্ষায় রয়েছে। যদি এটি সফল হয় তবে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা আদার পুনাওয়ালার সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এটি তৈরি করবে। এই মাসের গোড়ার দিকে ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিশিল্ড আগামী ছ’মাসের মধ্যেই তা কার্যকর হতে পারে। গত সপ্তাহে মিঃ পুনাওয়ালা টুইটারে ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিতরণ নিয়ে সরকারের কাছে তার জানতে চেয়েছিলেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক আগামী ১২ মাসের মধ্যে প্রত্যেককে এই ভ্যাকসিন কেনার এবং বিতরণ করার জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে কিনা। জুলাই মাসে তিনি জানিয়েছিলেন যে কোভিশিল্ডের জন্য ডোজ প্রতি প্রায় ১ হাজার টাকা ব্যয় হবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে ভারত প্রতিমাসে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডোজ পাবে এবং পুরো দেশকে ইনোকুলেশন করতে দুই বছর সময় লাগতে পারে।