নয়াদিল্লি: গতবছরের দুঃস্বপ্ন আবার দেখতে শুরু করেছে দেশবাসী। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির যে লকডাউন কার্যকরী হয়েছিল গোটা দেশজুড়ে এবং তাতে যে কি পরিমাণ সমস্যার মুখে পড়েছিল সাধারণ মানুষ তা কারও অজানা নয়। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই দেশের ভাইরাস পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে আবার হয়তো আগের বছরের মতো লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাবে। যদিও এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকরী হওয়ার মতো কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। মনে করা হচ্ছে, সমগ্র লকডাউনের দিকে ঝুঁকছে না সরকার, বড় আকারে আর লকডাউন ঘোষণা করবে না তারা।
যতটুকু ইঙ্গিত মিলছে তাতে বলা যায়, বড় আকারে লকডাউন ঘোষণা না করে ছোট ছোট আকারে লকডাউন করতে বেশি উদ্যোগী হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জেলা স্তরে হতে পারে লকডাউন। যদিও সেটিকে লকডাউন না বলে অন্য কিছু বলতেই বেশি উদ্যোগী কেন্দ্র। সেই প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে কার্ফুর দিকে বেশি জোর দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে নাইট কার্ফু। সেই প্রেক্ষিতে গত বারের মত বড় আকারের লকডাউন ঘোষণা না করে এবারেও হয়তো এই পথে হাঁটবে কেন্দ্রীয় সরকার। নাইট কার্ফু ছাড়াও ছোট ছোট কনটেইনমেন্ট জোন গঠন করা হতে পারে ভাইরাস পরিস্থিতির ওপর নজর দিয়ে। কিছুদিন আগে এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এখন দেশের ভাইরাস পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে হয়তো খুব তাড়াতাড়ি এই ধরনের কোন নিয়ম লাগু হতে পারে।
ইতিমধ্যে লকডাউন কার্যকরী হওয়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্যে ফেরার চেষ্টায় রয়েছেন। লকডাউন কার্যকরী হবার কোন রকম ইঙ্গিত না মিললেও তারা গত বছরের মতো সমস্যায় পড়তে চান না। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। গত বছরের মতো এ বছরও শ্রমিকদের নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, কেউ যেন আতঙ্কিত হয়ে শহর ছেড়ে না যান। সব মিলিয়ে লকডাউন আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে সকলকে।