নয়াদিল্লি: সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা নিয়ে খুব অল্প হলেও কিছু মানুষের দেহে রক্ত জমাট বেঁধেছে। সোমবার এক বিবৃতির দিয়ে একথা জানাল কেন্দ্রীয় সরকারের এক কমিটি। এদিন কেন্দ্রের তরফে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া প্রসঙ্গে সতর্কতামূলক একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে নিজেদের সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়েছে দ্য ন্যাশনাল অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন বা এনএইএফআই নামক কমিটি। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সোমবার কেন্দ্র জানায়, ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৮১ জন ভারতবাসী টিকা গ্রহণ করেছে। যাঁদের মধ্যে কোভিশিল্ড নিয়েছেন ৬ কোটি ৮৬ লক্ষ ৫০ হাজার ৮১৯ জন আর কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন ৬৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫৬২ জন। এঁদের মধ্যে শিরা বা ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া অর্থাৎ থ্রম্বোলিক হয়েছে মাত্র ২৬ জনের।
প্রতি দশ লক্ষে যা দাঁড়ায় ০.৬১ জন। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা যথাক্রমে ১০ ও ৪। কেন্দ্রের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী ও টিকাকেন্দ্রের প্রত্যেককে যেন টিকা নিতে আসে ব্যক্তিদের এই বিষয়ে সচেতন করেন। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে টিকা নেওয়ার কুড়ি দিনের মধ্যে যদি কারও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, বুকে ব্যথা হয়, হাত বা কাফ মাসলে ব্যথা হয় বা ফুলে যায়, টিকা দেওয়ার জায়গা ও তার আশপাশে যদি লাল রংয়ের র্যাযশ দেখা দেয়, বমি বা যদি পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, এই ধরনের মোট ১২টি উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷
যদিও ভারতের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই রক্ত বের হওয়া বা জমাট বাঁধার তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হয় টিকাপ্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে। তবে এদিন কেন্দ্রের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হল যে, হাতে গোনা হলেও রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটছে ভারতেও।