রাইসিনা দখল সময়ের অপেক্ষা, প্রথম রাউন্ডের পরেই বিজয়োল্লাস মুর্মুর বাড়িতে

রাইসিনা দখল সময়ের অপেক্ষা, প্রথম রাউন্ডের পরেই বিজয়োল্লাস মুর্মুর বাড়িতে

ওড়িশা: ওড়িশার রায়বাংপুরের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের অত্যন্ত সাধারণ ঘরের মেয়ে দ্রৌপদী। আজ তিনিই রাইসিনা দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে। প্রথম রাউন্ডেই তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিরোধী দলের পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওড়িশার এই সাঁওতাল সম্প্রদায়ভুক্ত স্কুল শিক্ষিকার নামে দেশের দ্বিতীয় মহিলা এবং ১৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। অন্যদিকে তিনি হবেন দেশের প্রথম সাঁওতাল সম্প্রদায়ভুক্ত রাষ্ট্রপতি। স্কুলের দিদিমনির এই বিশাল জয়ে গা ভাষাতে প্রস্তুত মুর্মুর গোটা গ্রাম। আর তাই ভোট গণনার প্রথম রাউন্ডের ফল প্রকাশ হতেই দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে শুরু হল বিজয়োল্লাস। আনন্দে গা ভাসিয়ে উপজাতীয় নাচে যোগ দিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও।

 এদিন দুপুরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় মুর্মুর পরিবারের সদস্যরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে বাড়ির সামনে পরিচিত সাঁওতালি ছন্দে কোমর দোলাতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই মুর্মুর জয়ে গা ভাষাতে কোমর বেঁধে তৈরি গোটা গ্রাম। বৃহস্পতিবার সকালেই জানা যায় মুর্মুর গ্রাম এবং নিকটবর্তী শহরের বাসিন্দারা তাঁর জয় উদযাপনের জন্য প্রায় ২০ হাজার মিষ্টি প্রস্তুত করেছে। বেলুন এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে ভাবী রাষ্ট্রপতির দোতলা বাড়িটিকেও। ইতিমধ্যেই বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন কয়েকশো গ্রামবাসী। মুর্মুর জয়ের অপেক্ষায় কার্যত প্রহর গুনছেন তাঁরা। এছাড়া জানা যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই গোটা গ্রামের বাসিন্দারা উপজাতীয় নাচ এবং বিজয় মিছিলের মাধ্যমে গ্রাম পদক্ষীন করবেন।

উল্লেখ্য এনডিএর পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু ওড়িশার একজন আদিবাসী মহিলা এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল। তবে রাজনীতিতে আসার আগে তিনি ওড়িশারই একটি গ্রামের স্কুলে দীর্ঘদিন শিক্ষিকার কাজ করেছেন। ৬৪ বছরের এই সাধারণ স্কুল শিক্ষিকাই আজ রাইসিনা দখলের পথে। এদিনের এই ভোট গণনার প্রথম রাউন্ডেই রেকর্ড ভোট পান মুর্মু। মোট ৭৪৮টি ভোটের মধ্যে মুর্মুর দখলে ছিল ৫৮০ টি ভোট। যেখানে যশমন সিনহা পেয়েছিলেন মাত্র ২০৮টি ভোট। প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষে জানা যায় মুরমুর প্রাপ্ত সাংসদদের মোট ভোটের মূল্য ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার। অন্যদিকে যশবন্তের প্রাপ্ত ভোটের মূল্য মাত্র ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬০০।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *