প্রিজন ভ্যানে বসে জন্মদিনের কেক কাটল খুনি! প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

প্রিজন ভ্যানে বসে জন্মদিনের কেক কাটল খুনি! প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

মুম্বই: প্রিজন ভ্যানে বসে জন্মদিনের কেক কাটল অপরাধী! দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ৷ আদালতে পেশের আগে কী ভাবে প্রিজন ভ্যানে বসে জন্মদিন পালন করতে পারে একজন অপরাধী? পুলিশের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন৷ 

আরও পড়ুন- যোগদান করলেই ইডি-সিবিআই মামলা বন্ধ! বিজেপির প্রস্তাব ছিল, জানালেন সিসোদিয়া

এদিন থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রোশন ঝাঁ নামে এক কুখ্যাত অপরাধীকে৷ মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরের বাসিন্দা রোশনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক খুনের অভিযোগ৷ মহারাষ্ট্রের একাধিক থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু রয়েছে। খুনের অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ এদিন তাকে আদালতে পেশের জন্য থানা থেকে বার করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়৷ আদালতের পথে রাস্তায় ভিড় করেছিল তার সাঙ্গপাঙ্গরা। হাতে কেকে৷ কারণ এদিন ছিল তাদের ‘গুরু’র জন্মদিন৷ তারাই রাস্তা আটকে প্রিজন ভ্যান দাঁড় করায়৷ তার পর প্রিজন ভ্যান থেকে হাত বার করে কেট কাটে ওই কুখ্যাত অপরাধী৷ জন্মদিন পালন শেষে তাকে নিয়ে আদালতের পথে রওনা দেয় পুলিশ৷ 

ওই দুষ্কৃতীর সাগরেদরা রোশনের কেক কাটার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে। পরে সেটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসেও দেয়৷ যা দেখার পরই শোরগোল বাধে৷ প্রিজন ভ্যানে বসে খুনের মামলায় অভিযুক্তের জন্মদিনের কেক কাটার ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তে৷ এর পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশ্ন উঠছে, নিরাপত্তার সীমারেখা ভেঙে কীভাবে প্রিজন ভ্যানের এত কাছে চলে গেল অভিযুক্তর সাগরেদরা? তারা যখন কেক নিয়ে প্রিজন ভ্যানের সামনে চলে এল, তখনই বা কেন তাদের বাধা দিল না পুলিশ? কেন তাদের সরিয়ে দেওয়া হল না? এ সব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর এখনও দিতে পারেনি মহারাষ্ট্র পুলিশ৷