কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে সিবিআই হানা, ব্যাপক চাঞ্চল্য

কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে সিবিআই হানা, ব্যাপক চাঞ্চল্য

88bce65c4873e9a4a0a349d5e87c8561

তিরুবন্তপুরম: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সরকারি বাসভবন ‘ক্লিফ হাউসে’ হঠাৎই হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে সিবিআই হানার এই খবরটি প্রকাশ্যে রাস্তায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণের রাজ্যজুড়ে। তবে জানা যাচ্ছে এই হানার জন্য দায়ী বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নন,  বরং কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অম্মেন চান্ডি। জানা গিয়েছে কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে এনেছিলেন এক মহিলা। বর্তমানে ওই মহিলার কেসটি তদন্ত করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই তদন্তের স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্লিফ হাউসে যান সিবিআই কর্তারা। তবে এই মুহূর্তে কেরলে নেই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। জানা যাচ্ছে, বিজয়ন বর্তমানে চিকিৎসার জন্য আমেরিকার বিখ্যাত মায়ে ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতেই মঙ্গলবার তাঁর বাসভবনে অভিযান চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, আজ থেকে প্রায় এক দশক আগে যখন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অম্মেন চান্ডি তখন এই শ্রীলতাহানির ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। সেই সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত তোলপাড় হয়েছিল কেরল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের পর্যন্ত দাবি ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল যে, অম্মেন চান্ডির নিরাপত্তাকর্মীরা ওই মহিলাকে সরকারি বাসভবনে তলব করেন। সে নিরাপত্তারক্ষীর নির্দেশ মেনে সময়মতো মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যান ওই মহিলা। কিন্তু এরপরেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চান্ডিসহ মোট ৬ জন কংগ্রেস নেতা আচমকা তাঁর উপর চড়াও হন এবং তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। যদিও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীসহ বাকি অভিযুক্তরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে তাঁরা কোনও অপরাধ করেননি এবং তদন্তে সব রকমের সহযোগিতা করতে রাজি।

ঘটনাটি ২০১২ সালের। কিন্তু বিষয়টি পুনরায় সামনে আসে যখন ২০২১ সালের প্রথমে ওই নির্যাতিতা ফের বর্তমান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পিনারাই বিজয়ন বিষয়টি সিবিআইয়ের হাতে তদন্তের জন্য তুলে দেন। বর্তমানে সিবিআই জেলা দায়রা আদালতে এই ঘটনা সংক্রান্ত তিনটি মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। ওই একই বিষয়ে অপর একটি মামলা কোচি আদালতে চলছে। এর আগে কেরল পুলিশের তরফ থেকে এই একই ঘটনা তদন্ত করা হয় কিন্তু সেই সময় কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে খবর। এবার সিবিআই আধিকারিকরা নিয়েছেন তদন্তভার। জানা যাচ্ছে এই শ্রীলতাহানি মামলার কারণেই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *