cbi
নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম সহ দেশের একাধিক রাজ্যের অন্তত ৫০ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। পাসপোর্ট জালিয়াতির বহু ঘটনার কথা জানতে পারার পরই এই অভিযান করা হয়। ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে সিবিআই। এই তদন্তেই তারা এখন জানতে পেরেছে জাল পাসপোর্ট তৈরি করার একটি চক্র রয়েছে এবং তারাই জঙ্গিদের জন্য তৈরি করত এই ভুয়ো পাসপোর্ট। এখানেই শেষ নয়। সিবিআই এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত হিসেবে পেয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-কেও। এছাড়া রয়েছে বাংলাদেশ যোগও।
এই ঘটনার তদন্তে যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন মিডলম্যান, অন্যজন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে কর্মরত ছিল। তাদের জেরা এবং তল্লাশি অভিযানের পর একাধিক আরও তথ্য জানতে পেরেছে সিবিআই। তাদের হাতে তথ্য এসেছে, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই থেকে শুরু করে জেএমবি এবং আকিসের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি এই চক্রের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট পেত। এই পাসপোর্ট পাওয়ার পর প্রথমে বাংলাদেশ তারপর ভারতে ঢুকে পড়ার ছক কষা হত। ইতিমধ্যে ভারতে একাধিকজন এইভাবেই ছদ্মবেশে ঢুকে পড়েছে বলেও আশঙ্কা সিবিআইয়ের। তাদের খোঁজে আলাদা করে তল্লাশি শুরু করেছে তারা।
সিবিআই এও জানতে পেরেছে, জঙ্গি অনুপ্রবেশ মূলত দুটি রাস্তা দিয়ে হতে পারে। এক, বাংলাদেশ হয়ে হিলি সীমান্ত টপকে। দুই, উত্তরবঙ্গ দিয়ে। তাই আরও তথ্য জোগাড়ে কলকাতা, শিলিগুড়ি এবং গ্যাংটকের মতো জায়গায় একসঙ্গে অভিযান চালিয়েছে তারা। এছাড়া একাধিক রাজ্য মিলিয়ে ২৫ জন পাসপোর্ট অফিসের কর্তা, একাধিক কর্মী ও এজেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই।