নয়াদিল্লি: পঞ্জাব কংগ্রেস নিয়ে জল্পনা বহুদিন থেকেই রয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক পরিস্থিতি এবং দলীয় অবস্থা নিয়ে অনেকদিন ধরেই অস্বস্তি কংগ্রেস শিবিরে। এবার আরো বড় জল্পনা তৈরি হল যখন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং দিল্লি সফর করলেন। সূত্রের খবর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এরপর যদি তিনি বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে কংগ্রেস শিবিরের জন্য তার বড় ধাক্কা হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- ইস্যু পিস্তল! ‘দিলীপ কাণ্ডে’ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের পুলিশের
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কৃষি বিল আইন নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে যে আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছে তা থামাতে মাস্টার স্ট্রোক দেওয়ার পরিকল্পনা নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হয়তো ক্যাপ্টেনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শামিল করতে পারেন এবং কৃষিমন্ত্রী করতে পারেন! যদি এমনটা হয় তাহলে কৃষি বিল নিয়ে যে আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছে তার রদ হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। তার থেকেও বড় কথা, ২০২২ সালে পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, তার আগে এই কৃষি বিলকে কেন্দ্র করেই রাজ্যে বিজেপি প্রায় ধরাশায়ী অবস্থায় রয়েছে। সেখান থেকে মূল লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টিকে টক্কর দিতে গেলে বিজেপিকে মাস্টার স্ট্রোক দিতেই হবে।
আরও পড়ুন- বন্ধুকে সকালের আদরে ভরিয়ে দিলেন সায়নী, শেয়ার করলেন ভিডিয়ো
এদিকে আবার, নভজ্যোত সিং সিধু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। সোনিয়া গান্ধীকে সংক্ষিপ্ত একটি চিঠি লিখে ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন সিধু। মূলত তাঁর জন্যই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়েছিল কংগ্রেস, এবার সেই সিধুই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস শিবির বিরাট চাপে পড়ে গিয়েছে তা বলাই যায়। মাত্র কয়েক দিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে এসেছিলেন সিধু। মনে করা হয়েছিল তাঁকে হয়ত মুখ্যমন্ত্রী করা হবে পঞ্জাবের। যদিও তাঁর চরম বিরোধিতা করেছিলেন ক্যাপ্টেন। শেষমেষ, মুখ্যমন্ত্রী করা হয় চরণজিৎ সিং ছানিকে।