নয়াদিল্লি: গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের এনকাউন্টার তদন্ত কমিটিতে শীর্ষ আদালতের কোনও বিচারকের থাকার বিষয়টি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ বদলে এই কমিটিতে প্রাক্তন বিচারপতি এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে রাখার পরামর্শ দিল শীর্ষ আদালত৷ সোমবার শুনানির সময় শীর্ষ আদালত জানায়, ‘‘তদন্ত কমিটির অংশ হওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতের কোনও বিচারপতিকে আমরা পাঠাতে পারি না৷’’
শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হওয়া উচিত৷ কারণ করোনা পরিস্থিতিতে অন্য কোনও রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এলাহাবাদে যেতে প্রস্তুত নন৷ এদিকে, এই কমিটিতে কাকে কাকে রাখা হবে, সেই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি আনতে সম্মত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পক্ষের আইনজীবী হরিশ সালভে৷ আগামী বুধবার এই বিষয়ে বিবেচনা ও অনুমোদন দেবে সর্বোচ্চ আদালত৷ সেই সঙ্গে রাজ্যে আইনের শাসন বহাল রাখার কথাও রাজ্যকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আমাদের ব্যবস্থায় যে খামতি রয়েছে, এদিন সেই দিকটি তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ‘‘বিকাশ দুবের মতো একজন মানুষ কী করে জামিনে ছাড়া পায়, সেই বিষয়টি আমাদের অবাক করছে৷ একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে একজন অপরাধীকে কারাগারের চার দেওয়ালে আটকে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা৷ কমিটিকে এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে৷’’
এদিকে, বিকাশ দুবের এনকাউন্টার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল৷ তবে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল জানান, 'বিকাশ দুবের মৃত্যু ভুয়ো এনকাউন্টারে হয়নি। আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই কাজ করেছে পুলিশ। সময় দেওয়া হলে এ বিষয়ে আরও তথ্য দেওয়া হবে।' পুলিশের দাবি, তাদের ভ্যান দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পরই পালানোর চেষ্টা করেছিল বিকাশ দুবে। তখনই তাকে গুলি করা হয়। গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের বিরুদ্ধে ছিল ৬৪টি ফৌজদারি মামলা।
অন্যদিকে, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসটিএফ)-এর তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিকাশের ফোনের কল রেকর্ড ঘেঁটে জানা গিয়েছে, সর্ষের মধ্যেই ছিল ভূত৷ নিজের ফোন থেকে যে দুটি নম্বরে ক্রমাগত ফোন করেছিল বিকাশ, সেই নম্বর দুটি আসলে বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ কনস্টেবলের৷