নয়াদিল্লি: শুক্রবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। শুক্রবার সকালে সংসদ ভবনে গিয়ে তিনি মনোনয়ন জমা দেন। তবে সূত্রের খবর, মনোনয়ন জমা দিয়েই সরকারপক্ষের এই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বিরোধীদের সমর্থন চেয়ে ফোন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। সূত্রের খবর, এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই মমতার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন দ্রৌপদী। তবে একা মমতা নয় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি সুপ্রিম পাওয়ারের সঙ্গেও এদিন তিনি ফোনে কথা বলেছেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে বিরোধী দলের একাধিক নেতাকে ফোন করে সমর্থন চেয়েছেন দ্রৌপদী। তবে বিরোধী নেতারা সমর্থন প্রসঙ্গে কোনও বার্তা না দিলেও এদিন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দৌপদী মুর্মুকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত সপ্তাহেই আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইনডিয়ের পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। অন্যদিকে ওই একই দিনে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয় দেশের প্রাক্তন অর্থ এবং বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিনহার। অর্থাৎ আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের এই দুই প্রার্থীর মধ্যে কেউ একজন হতে চলেছেন দেশের সাংবিধানিক সর্বাধিনায়ক। অন্যদিকে দ্রৌপদী মুর্মু যদি আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তাহলে দেশ পাবে দেশের দ্বিতীয় মহিলা এবং প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি। ফলে আগামী এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কার্যত সরগরম দেশের রাজনৈতিক মহল। এর মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনিয়া গান্ধীকে দ্রৌপদী মুর্মু ফোন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্রের খবর, বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহার নাম ঘোষণায় বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার আগে যশবন্ত সিনহা তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ফলে আগামী নির্বাচনের পদপ্রার্থী হিসেবে যশোবন্তের নাম যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সুপারিশ করেছিলেন তা এক কথায় স্পষ্ট। এমতাবস্থায় বিরোধীদের সমর্থন পেতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনিয়া গান্ধী, শরদ পাওয়ারের মতো হেভিওয়েট বিরোধী নেতাদের সমর্থন যে সবার আগে প্রয়োজন তা ইতিমধ্যেই বুঝেছেন দ্রৌপদী। আর তাই এদিন মনোনয়ন জমা দিয়েই বিরোধী এই সমস্ত শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ফোন করেন তিনি। জানা যাচ্ছে, সমর্থন প্রসঙ্গে কোন সরাসরি বার্তা না দিলেও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রৌপদীকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।