খিদের জ্বালায় উদভ্রান্ত শ্রমিকদের ‘বন্দি’র নির্দেশ কেন্দ্র, রাজ্যকে গুচ্ছ নির্দেশ

খিদের জ্বালায় উদভ্রান্ত শ্রমিকদের ‘বন্দি’র নির্দেশ কেন্দ্র, রাজ্যকে গুচ্ছ নির্দেশ

নয়াদিল্লি:  করোনা সংক্রামণ রুখতে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। আইনানুগভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কড়া নির্দেশ জারি রয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করেই দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যগুলি থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকেরা দলে দলে ঘরে ফেরার জন্য দিল্লির আনন্দবিহার বাস টার্মিনাস বা গাজিয়াবাদে যে দৃশ্য শুক্রবার ও শনিবার নজরে এসেছে, তা আগামী দিনের জন্য ভয়ঙ্কর বার্তা দিচ্ছে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা। পুরো বিষয়টি দেখে হতবাক দেশের মানুষের সমালোচনায় তোলপাড় সামাজিক মাধ্যমগুলিও।

এরপরেই রবিবার এই বিষয়ে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই অনুযায়ী রাজ্যগুলিকে লকডাউন সুনিশ্চিত করতে জোরদার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশ অধিকর্তার সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছে ক্যাবিনেট সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ভিডিও কনফারেন্সিং করে তাদের মধ্যে শনিবার ও রবিবার দু-দফায়  আলোচনাও হয়েছে।

রাজ্যগুলিকে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে-

রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বৃহত্তর আকারে সমস্ত রকম গাইডলাইন কার্যকর করতে হবে। একইসঙ্গে জরুরী পরিষেবাগুলিও বজায় রাখতে হবে।
ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের যাতায়াত বন্ধ করতে সমস্ত জেলা ও রাজ্য গুলির সীমান্ত কার্যকরীভাবে সিল করতে হবে।
শহর ও জাতীয় সড়কে সাধারণ মানুষের ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে হবে।
শুধুমাত্র পণ্য পরিবহনে ছাড় দিতে হবে।
ডিএম আইন অনুসারে জারি হওয়া নিয়ম বিধি কার্যকর করতে  ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারদের ব্যাক্তিগতভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।
প্রশাসনকে দরিদ্র মানুষ ও কর্মক্ষেত্রে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য শনিবারই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল ব্যবহার করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
লকডাউনের সময় শিল্প, দোকান-সহ বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলির নিয়োগকর্তাদের তাঁদের কর্মীদের বেতন কাটতে পারবেন না।
পরিযায়ী-সহ যে সমস্ত শ্রমিকরা ভাড়া বাড়িতে থাকেন, ভাড়া দেওয়ার জন্য তাঁদের উপর চাপ দিতে পারবেন না বাড়ি মালিকরা।
এই পরিস্থিতিতে যদি কোনও  শ্রমিক বা ছাত্রছাত্রীদের ভাড়া বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হলে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।