গর্ভপাতে দেদার অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জন্ম নিয়ন্ত্রণে লাগাম সম্ভব?

গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে একজন এবং ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে দুজন চিকিৎসকের মতামত নেওয়া প্রয়োজনের বিষয়টিকেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। বিশেষত নাবালিকা, প্রতিবন্ধী, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন সন্তানসম্ভবাদের ক্ষেত্রে এই এই বিধি ফলপ্রসূ হবে। এমটিপি বিধি সংশোধনের মাধ্যমে এজাতীয় মহিলাদের নির্দিষ্ট করা হবে।

নয়াদিল্লি: গর্ভাবস্থায় মহিলাদের সুরক্ষিত ও নিরাপদ গর্ভপাত  সুনিশ্চিত করতে মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট ১৯৭১সালের সংশোধিত বিলটি অনুমোদন পেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। বিলে গর্ভপাতের সময়সীমা ২০ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করার প্রস্তাব আনা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভারেকর জানিয়েছেন, বাজেট অধিবেশনে এই বিল সংসদে উপস্থাপন করা হবে।

বিলটিতে গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের মতামত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যখন গর্ভাবস্থার ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে দুজন চিকিৎসকের মতামত নেওয়া প্রয়োজনের বিষয়টিকেও উল্লেখ করা হয়েছে। জাভারেকর আরও বলেন, এই প্রস্তাব পাশ হলে প্রসূতি মৃত্যুর হার কমবে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই ৫ মাসের আগে পর্যন্ত গর্ভধারণের বিষয়টি জানা সম্ভব হয়না। সেক্ষেত্রে বিশেষত নাবালিকা, প্রতিবন্ধী, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন সন্তানসম্ভবাদের ক্ষেত্রে এই এই বিধি ফলপ্রসূ হবে। এমটিপি বিধি সংশোধনের মাধ্যমে এজাতীয় মহিলাদের নির্দিষ্ট করা হবে।

মেডিকেল বোর্ডের তদন্তে ভ্রূণের অস্বাভাবিকতা ধরা পড়লে গর্ভাবস্থার উচ্চ সীমা অর্থাৎ ২৪ সপ্তাহ প্রযোজ্য হবে না। প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে মহিলাদের গর্ভপাত করা হবে তার নাম এবং অন্যান্য তথ্য সেই সময় আইনের আওতায় নির্ধারিত কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে দেওয়া হবে না।

কেন্দ্রের মতে এই প্রস্তাব মহিলাদের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যের প্রতি একটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ এবং অনেক মহিলা এর দ্বারা উপকৃত হবেন। সাম্প্রতিক সময়ে, ভ্রূণের বৈষম্য আছে বা যৌন নিপীড়নের ফলে গর্ভধারণ করেছেন এমন মহিলাদের মধ্যে বর্তমান অনুমোদিত ২০ সপ্তাহ সীমা অতিক্রম করার পরেও গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে।

মহিলাদের জন্য নিরাপদ গর্ভপাতের পরিষেবা প্রদান ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিকাশের বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার এমন বহু মানুষ এবং মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে গর্ভপাত নিয়ে একাধিক পরামর্শের পর এই আইন সংশোধনের প্রস্তাব এনেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *