নয়াদিল্লি: আইন পাশ হয়েছিল আগেই, কিন্তু তা কার্যকর করা যায়নি এতদিন। করোনা অতিমারির জেরে আর সবকিছুর মতোই থমকে গিয়েছিল এই কাজও। তবে কেন্দ্র সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) জন্য আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না দেশবাসীকে। মাস ছয়েকের মধ্যেই কার্যকর হতে চলেছে বহু বিতর্কিত বহু চর্চিত সিএএ।
আরও পড়ুন- মাত্র ২ ঘন্টাতেই মিলবে রান্নার গ্যাস! হেঁশেলের চিন্তা কমাতে উদ্যোগী ইন্ডিয়ান অয়েল
চলতি বছরের অগাস্ট কিংবা সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দেশ জুড়ে কেন্দ্র সরকারের নয়া আইন সিএএ কার্যকর হতে চলেছে, এদিন রাজ্যসভায় এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বলা হয়েছে, নতুন এই আইন সংক্রান্ত বিধি নির্দিষ্ট করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বস্তুত, বিধি গঠনের জন্য জুলাই মাস পর্যন্তই সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে সংসদে। বিধি নির্দিষ্ট হলে আইন কার্যকর করায় আর কোনও বাঁধা থাকবে না। ফলে আগস্ট কিংবা সেপ্টেম্বর থেকেই দেশ জুড়ে সিএএ চালু হবে বলে আশা করা যায়।
বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষ তথা রাজ্যসভায় করোনা পরবর্তী সময়ে সিএএ কার্যকর করার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “কেন্দ্র সরকার যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করেছে, তার অধীনের বিধি-নিয়মের খসড়া তৈরি হয়েছে কি? যদি হয়ে থাকে তবে তার বিজ্ঞপ্তি কবে জারি করা হবে?” এ প্রশ্নের উত্তরেই বিবৃতির মাধ্যমে জুলাই মাসের মধ্যে আইনের বিধি নির্দিষ্ট করার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
আরও পড়ুন- কৃষক বিদ্রোহ অতীত, এক ফোনেই গলল বরফ! এবার কানাডাকে ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে ভারত
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাস থেকেই খাতায় কলমে চালু হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তবে কোভিড পরিস্থিতির জটিলতার কারণে তা কার্যকর করার কাজ শুরু করা যায়নি। আইনবিধি নির্দিষ্ট না হওয়াই এর মূল কারণ। এখন দেশের উপর থেকে অতিমারির মেঘ কেটে গিয়েছে অনেকটাই। ফলে ফের সিএএ-র দিকে নজর দিয়েছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলে আসা সেই সব দেশের সংখ্যালঘুরা যদি ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করে বসবাস করতে শুরু করে থাকেন, তবে ভারত সরকার তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে। সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও ওই সব দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ (মুসলিম) যদি এসে থাকেন, তবে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না, এমনটাই বলা হয়েছে এই আইনে।