বিশাখাপত্তনম: প্রেম দিবসের সাত সকালেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল অন্ধ্রপ্রদেশ। বাস আর লরির সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন অন্তত ১৪ জন। মৃতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে গুরুতর জখম হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ৪ জন শিশু। প্রেম দিবসের শুরুতেই এহেন দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে অন্ধ্রপ্রদেশে।
জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলার মাদারপুর গ্রামে। ভোর ৪টে নাগাদ তীর্থযাত্রীদের নিয়ে একটি বাস রাস্তার পাশে থাকা এক লরিকে ধাক্কা মারে। বাসটি চিট্টুর জেলা থেকে রাজস্থানের দিকে যাচ্ছিল। মূল গন্তব্য ছিল আজমির। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে আর ঘরে ফেরা হয় না তীর্থযাত্রীদের। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ৮ জন মহিলা ৫ জন পুরুষ এবং ১ শিশু। প্রত্যেকেই দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় সরকারের জেনারেল হাসপাতালে। ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তে যা উঠে এসেছে তাতে করে বাস চালকের নিয়ন্ত্রণহীনতাকেই দাঁড় করানো হয়েছে কাঠগড়ায়। মনে করা হচ্ছে, বাস চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে রাস্তার মধ্যবর্তী বিভাজকে ধাক্কা খায়। এরপর পিছনে ঘুরে গিয়ে ধাক্কা মারে একটি লরিতে। ভোর রাতে এমন দুর্ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাহত হয়েছে জাতীয় সড়কের যান চলাচল।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে দুদিনে দুটি বড়সড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল অন্ধ্রপ্রদেশ। মাত্র ২ দিন আগেই আরো একটি পর্যটকবাহী বাস অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল। বাসটিতে ছিলেন ২০ জনের বেশি যাত্রী। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেই বাসটি পড়ে গিয়েছিল ২০০ ফুট গভীর খাদে। ১৩ জন আহত এবং ৪ জন নিহত হয়েছিলেন দুদিন আগের সেই দুর্ঘটনায়। এইটুকু সময়ের ব্যবধানে ফের এই বিপর্যয় নিঃসন্দেহে প্রশ্ন তুলেছে প্রচলিত ব্যবস্থা নিয়ে।