ব্রিফকেস থেকে ট্যাবলেট! অর্থমন্ত্রীর হাতের “লালশালু”তেই নজর গোটা দেশের

দিল্লি: বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রীর হাতের ওই লালশালু পুজো করা হয় কেন জানেন?লাল শালুতে মোড়া ওই জিনিসটা আসলে কী?কোন গুপ্তধন থাকে লাল শালুর মোড়কে?ব্রিফকেস থেকে শুরু,সেখান…

দিল্লি: বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রীর হাতের ওই লালশালু পুজো করা হয় কেন জানেন?লাল শালুতে মোড়া ওই জিনিসটা আসলে কী?কোন গুপ্তধন থাকে লাল শালুর মোড়কে?ব্রিফকেস থেকে শুরু,সেখান থেকে ডিরেক্ট নিজস্ব স্টাইল!

এখানেও কথা বলছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহি খাতার কনসেপ্ট বদলেছে। সেটা কী জিনিস? ভারতে হিসাব রাখা হয় যে খাতায়, তাকেই বলা হয় বহি-খাতা। এক সময় এই হিসেব থাকতো একটা ব্রিফকেসে। ২০১৯ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসে মোদী সরকার। নতুন অর্থমন্ত্রী হন নির্মলা সীতারমণ। যার হাত ধরে পালটে যায় ব্রিফকেসের ধারা।

আসলে, ভারত সবটা সাজাতে চেয়েছে নিজের মতো করে। নিজস্ব স্টাইল, নিজস্ব ট্রেন্ডে।

চামড়ার ব্রিফকেস বেসিক্যালি ব্রিটিশ আমল থেকে চালু হয়েছিল। বাজেট নথি আসতো ব্রিফকেসে বন্দি হয়ে। ১৯৪৭, এ স্বাধীন ভারতের প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আর.কে. শনমুখম চেট্টি৷ তাঁর হাতেও ছিল চামড়ার পোর্টফোলিও ব্যাগ।
এরপর ইন্দিরা গান্ধির আমল থেকে মোদি আমলের অরুণ জেটলি পর্যন্ত ওই ধারাই চলেছে। বিভিন্ন রঙের চামড়ার ব্যাগ হাতে করে সংসদে ঢুকতেন অর্থমন্ত্রীরা।

কিন্তু সাল ২০১৯, এলো
লাল শালুতে মোড়া বাজেটের নথি। হিসেব রাখার ওই বহি খাতার উপরে নতুন বছরে স্বস্তিক আঁকার রীতি। ১ টাকার কয়েনে লাল সিঁদুর মাখিয়ে দেওয়া হয় অশোক স্তম্ভের ছাপ। ওই ঐতিহ্যকে সরকারি সীলমোহর দেন নির্মলা।

কাট টু ২০২১। করোনার বছর। ওই বার নিউ নরমালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে “লালসালু”র ভেতরে বিরাট বদল ঘটে। ওই শুরু পেপারলেস বাজেট। স্বাধীনতার পর সেইবারই প্রথম। ট্যাবলেট থেকে বাজেট পেশ করেন নির্মলা। ওই ট্যাবলেট আসে লাল কাপড়ে মুড়ে, তার উপর অশোক স্তম্ভ। সেই শালু আবার সিদ্ধি বিনায়ক ও মহালক্ষ্মী মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুজো দিয়ে আনা।

না, এবারেও তার অন্যথা ঘটলো না। লালসালু মোড়া ট্যাবলেট থেকেই অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশ। আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে মিশে গেল ডিজিটাল ইন্ডিয়া। ব্রিফকেস থেকে ট্যাবলেট, বাজেটে বিবর্তনের ছবিটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।