নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে গত প্রায় ৬ মাস ধরে ক্রমাগত লড়ছে গোটা দেশ। করোনা যুদ্ধে সামনে থেকে লড়ছেন চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত ৬ মাস ধরে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের কর্তব্যকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা দেশ। তাঁদের কেবল দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতেই হয় না, সুরক্ষা সরঞ্জাম, পিপিই কিট পরতে হয় তাঁদের। এই অবস্থায় কাজ সম্পাদন করাও বেশ মুশকিলের।
এই মারাত্মক ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তাঁদের পিপিই কিট পরতে হয়। দিনভর এই পিপিই কিট পরে থাকা মুখের কথা নয়। আর কিছু কিছু সময় তো আবার তাঁদের কাজের সময়ও বেড়ে যায়। তাঁদের চিকিৎসা করা রোগীদের সংখ্যা এবং আগত রোগীদের ফ্রিকোয়েন্সি অনুসারে কয়েক দিন পর্যন্ত তা বেড়ে যেতে পারে। সর্বদা, তাঁদের নিজের নিরাপত্তা এবং তাঁদের সহকর্মী এবং অন্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাঁদের অবশ্যই প্রতিরক্ষামূলক হজমত স্যুট বা পিপিই পরতে হবে। প্রতিদিন এভাবে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে মাস্ক এবং গ্লাভস সহ প্লাস্টিকের স্যুট পরতে কারওর ভাল লাগে? কিন্তু উরায় নেই।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে একজনকে তাঁর ট্রাউজার পা তুলে চেয়ারের উপর বসতে দেখা গিয়েছে। এবং তিনি যখন তাঁর পা থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি সরিয়ে দেন তখন তার ভিতর থেকে অনর্গল ঘাম মাটিতে পরতে থাকে। প্রায় এক বালতি হবে সেই ঘামের পরিমাণ। একটি মার্কিন সংবাগমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভিডিওটি 8 আগস্ট উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চিনের জিনজিয়াংয়ের আঞ্চলিক রাজধানী উরুমকিতে তোলা হয়েছিল। ওই স্বাস্থ্যকর্মী কাজের মাঝখানে বিরতি নিচ্ছিলেন। তখনই ভিডিওটি তোলা। ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল এবং তা হাজার হাজার নেটিজেনকে ব্যবহারকারীদের স্তম্ভিত করে।
গত জুন মাসে এক চিকিৎসক গ্লাভস খোলার পর একটি ছবি পোস্ট করেন। ১০ ঘণ্টা একটানা গ্লাভস পরে থাকায় তাঁর হাতের অবস্থা অবাক করেছিল নেটিজেনদের। সুরক্ষার কারণে কোভিড ওয়ার্ডের মধ্যে দায়িত্ব পালন করার সময় স্বাস্থ্যকর্মীদের এসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে নিত্যদিন। আইএএস অফিসার অবনীশ শরণ এই ছবিটি টুইটারে শেয়ার করেছিলেন। সঙ্গে লিখেছেন: “১০ ঘণ্টা ডিউটি করার পরে ডাক্তারের গ্লাভস সরিয়ে দেওয়ার পরে এটিই হাতের অবস্থা। এইসব নায়কদের কুর্নিশ।”