তিয়াষা গুপ্ত : ইঙ্গিতটা আগেই মিলেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে উত্তর প্রদেশে জোট করার কোনো তাগিদই অনুভব করল না বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টি। ২ দিন পরে আরো এক কদম এগিয়ে সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সহসভাপতি কিরণময় জানিয়ে দিলেন, তাঁদের কংগ্রেসকে দরকার নেই। বুয়া-বাবুয়া নিজেরাই একশ। উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারাতে তাঁদের কংগ্রেসকে পাশে নেওয়ার দরকারই পড়বে না। একইসঙ্গে তিনি কংগ্রেসকে উত্তর প্রদেশে অপ্রাসঙ্গিক শক্তি বলেও কটাক্ষ করেন।
আসন ছাড়ার বিষয়ে তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, এসপি-বিএসপি জোট রায়বরেলি ও আমেঠি কংগ্রেসকে ছাড়তে পারে। তবে সেব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে তিনি জানাননি। রায়বরেলি ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী ও আমেঠি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কেন্দ্র। এই ২ কেন্দ্রে বহু বছর থেকে কংগ্রেসই প্রতিনিধিত্ব করছে। এছাড়া বাকি কোথাও কংগ্রেসকে জমি ছাড়তে নারাজ বুয়া কিংবা বাবুয়া। এ প্রসঙ্গে কিরণময় নন্দ বলেন, এই রাজ্য়ে কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক। ফলে তাদের যুক্ত বা বিযুক্ত কোনোটা নিয়েই ভাবা হচ্ছে না।
এসপি ও বিএসপির মধ্যে আসন রফা প্রায় পাকা। শুক্রবার দিল্লিতে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী ও এসপি নেতা অখিলেশের মধ্যে কথা হয়েছে।
এদিন কিরণময় নন্দকে প্রশ্ন করা হয়, কংগ্রসকে ব্রাত্য করলে কার্যত বিজেপিকেই সুবিধা করে দেওয়া হবে না?
এর উত্তরে তিনি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, এসপি-বিএসপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়ে কোনো সুবিধা করতে পারেনি। বরং আমাদের জোট সহজেই বিজেপিকে হারিয়েছে। কংগ্রেসের ভোট ভাগাভাগির অঙ্ক সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।
তিনি ফুলপুর ও গোরক্ষপুরের লোকসভা উপনির্বাচনের কথাও টেনে আনেন। সেখানে বুয়া-বাবুয়া জোট বিজেপিকে তাদের শক্ত ঘাঁটিতে পরাস্ত করেছিল। জোটের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়ায় বিজেপিকে হারাতে কোনো সমস্যাই হয়নি। এপ্রসঙ্গে তিনি ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কথাও টেনে আনেন। তাঁর কথায়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস কি বিএসপি ও এসপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল? উত্তর না। তাদের নীতি হল অন্যের থেকে সুবিধা আদায় করে নেবে। দরকার না পরলে জোট করবে না।
পশ্চিমবঙ্গের বাম জমানার কৃষিমন্ত্রী কিরণময় আরো দাবি করেন, উত্তর প্রদেশে এসপি-বিএসপি জোট বিজেপিকে উতখাৎ করবে। কেন্দ্রে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে তাঁরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবেন বলে মনে করেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তাঁরা নেই বলে স্পষ্ট জানান কিরণময়। মায়াবাতী যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকবেন না, তা কী করে জোর গলায় বলতে পারেন কিরণময়? কারণ বিরোধী জোটের ভতরেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে যাঁদের নাম আলোচনায় এসেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মায়াবতী।